দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার সখিপুর সরকারি কেবিএ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের ‘সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী’ ব্যানারে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কলেজ ক্যাম্পাসে একটি মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেবিএ কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অপরাধে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ব্যানার সহকারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল হাসিব ইফতির সভাপতিত্বে এক ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অমিত হাসান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, দেবহাটা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আহছানউল্লাহ কল্লোল প্রমুখ। এসময় বক্তারা কেবিএ কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়েজুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়জুল্লাহর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে দেবহাটার সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা (কেবিএ) কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ফয়েজউল্লাহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে আমাদের ছাত্র। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ ফয়েজউল্লাহ আমার রুমে এসে বলে, ‘আংকেল আপনারা স্টুডেন্টদের কাছ থেকে ৮০ টাকা করে নিচ্ছেন কেন?’ তখন আমি বলি, এটা তোমাদের ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার বলতে পারবেন। তার কাছে জিজ্ঞেস করো। আমি একটু অন্য কাজে ব্যস্ত। তখন সে বলে, ‘এই তুই জানিস না কেন?’ তখন আমি তাকে আমার রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলি। ঘটনার সময় আরও দুজন শিক্ষক আমার কক্ষে ছিলেন।
কলেজ অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমার ৩৪ বছরের শিক্ষাকতার জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার পর তার বলা কথাগুলো শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন করে প্রতিবাদ ও কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হককেও জানানো হবে। এর একটা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্ত হব না।
তিনি আরও বলেন, এই ছেলের বিরুদ্ধে ইভটিজিং, গাঁজা সেবন, চাঁদাবাজি, উশৃঙ্খলতার অভিযোগ প্রতিদিনের ঘটনা। তবে তাকে আমরা বুঝাই। অল্প বয়স হয়তো সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দিন দিন তার আচরণ আরও খারাপের দিকে গেছে। আমরা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাই।