বিদেশের খবর: ভারতে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম পরিবহন ও সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ছবি তিনি পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা যায়, শিশু শ্রমিকরা ইভিএম ভরা বাক্স বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনিবন্ধিত গাড়িতে ওই বাক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিহারের এই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী, খবর এনডিটিভি।
টুইটারে হিন্দিতে তেজস্বী যাদব লেখেন— ‘বিহারে ইভিএম নিয়ে যেতে শিশু শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’ সেই সঙ্গে তিনি আরো লেখেন— ‘ভোটযন্ত্রগুলোকে অনিবন্ধিত গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যা আইনের পরিপন্থী।’ তিনি আরো লেখেন— ‘ইভিএমগুলোকে মুজাফ্ফরপুরের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।’
বিহারের এই আইন প্রণেতার অভিযোগের পিছনে রয়েছে কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলোরও অভিযোগ, যেখানে বলা হয়েছে ইভিএমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে। কারচুপির পরিমাণ নিয়ে তাঁদের আশঙ্কার কারণে বহু রাজ্যে দলীয় কর্মীরা ইভিএম স্টোরেজ রুমের বাইরে রীতিমতো ঘড়ি ধরে সতর্কতার সঙ্গে পাহারা দিয়ে চলেছেন, যতক্ষণ না গণনা শুরু হয়। উত্তর প্রদেশের মীরাট ও রায়বেরিলি, যা গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এবং যেখানকার আসন থেকে সনিয়া গান্ধী পুনর্নিবাচনে লড়বেন, সেখানে কংগ্রেস কর্মীরা স্টোররুমের বাইরেই বসে রয়েছেন। চণ্ডীগড়েও স্ট্রংরুমের বাইরে কংগ্রেসকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন যাতে ইভিএমকে স্থানান্তরিত করা না যায়।
তামিলনাডুতে ডিএমকে নেতা এম কানিমোঝি দাবি করেছেন, তিনি যেখান থেকে নির্বাচনে লড়ছেন সেই থুথুকুড়ি জেলায় ভোটযন্ত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এজেন্টদের নিযুক্ত করেছেন সিসিটিভির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে— ‘ভারতের নির্বাচন কমিশন জোরের সঙ্গে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চায় সব অভিযোগ ও বিবরণই সম্পূর্ণ মিথ্যে।’ গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, সব ইভিএমই, যার মধ্যে সংরক্ষণে রাখা যন্ত্রও রয়েছে, সবগুলোকেই ‘সব সময়ের জন্য সশস্ত্র পুলিশের তত্ত্বাবধানে’ রাখা হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরও। এ ছাড়া বলা হয়েছিল— ‘সংরক্ষিত ইভিএমগুলোও ভোট হওয়া ইভিএমগুলোর সঙ্গে একই সময়ে ফিরিয়ে দিতে হবে প্রাপ্তি কেন্দ্রগুলোকে।’