আজকের সেরা

স্বার্থের দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগে আস্থাহীনতা চরমে; বিব্রত আওয়ামী লীগ

By Daily Satkhira

May 23, 2019

রাজনীতির খবর: ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বে টালমাটাল বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। স্বার্থের দ্বন্দ্বে নিজেদের মধ্যে বিবাদ বেড়েই চলেছে। কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সংগঠন পরিচালনা- প্রায় প্রতিটি পর্যায়েই গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। ফলে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা থেকে আস্থাহীনতা এখন চরমে। কমছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধও। আর এতে করে বিব্রত হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

৩১ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলেও ১০৯টি সাংগঠনিক জেলার (বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর) হয়নি নতুন কমিটি। যেসব শাখায় কমিটি রয়েছে তাও পূর্ণাঙ্গ নয়। ফলে তৃণমূলে ঢিলেঢালা অবস্থার সঙ্গে বাড়ছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে নানাভাবে ভূমিকা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ১১ ও ১২ মে ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শেষে ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।

একই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার দুই মহানগর কমিটিও করা হয়। নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ সিন্ডিকেটমুক্ত হওয়ার ধারণা তৈরি হয়েছে। ফলে এ কমিটির প্রতি সবার প্রত্যাশা ছিল খানিকটা বেশি। কিন্তু সংগঠন পরিচালনায় কোনো ইতিবাচক সাফল্য চোখে পড়েনি বরং সমন্বয়হীনতার অভিযোগ এসেছে বারবার।

তবে সংগঠনের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণেই তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের কমিটি নেত্রী দিয়েছেন। কমিটি গঠনের পর জাতীয় নির্বাচন, ডাকসু নির্বাচন, সড়ক আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ফলে আমাদের মেয়াদের বড় একটি সময় সেখানে গিয়েছে। তাই কমিটি গঠনে বিলম্ব হয়েছে। আর এ বিলম্বের অন্যতম একটি কারণ হল সদ্য সাবেক নেতৃত্বের অসহযোগিতা।

সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না করতে পারার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইউনিটগুলো থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। যেহেতু শাখাগুলোর এ কমিটি আমাদের আগের কেন্দ্রীয় কমিটির দেয়া, তাই তারা ঠিকভাবে কথা শুনছেন না। ফলে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের যে সিন্ডিকেট তারা আমাদের ব্যর্থ করতেই এ ধরনের কাজ করছে। সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন নেতৃত্ব গঠনের যে ইতিবাচক পরিবর্তন তা তারা মেনে নিতে পারছেন না।

কর্মসূচি বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ঘোষিত সব কর্মসূচিই বাস্তবায়ন হয়। হয়তো কিছু কর্মসূচি সময়সাপেক্ষ। যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে এখন পুরোদমে কাজ শুরু হবে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে কোনো কোন্দল নেই। অনেক বড় সংগঠন হওয়ায় কখনও কখনও কিছু ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে অসঙ্গতির বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কমিটি করা হয়েছে। এরপরও যেসব অভিযোগ আসছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। সেগুলোর বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ত্রিশ দিনের মধ্যে সব শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মডেল ছাত্রলীগ গড়তে সব শাখাকে ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলা হয়েছে। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কমিটি ভেঙে দেয়া, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা এবং নতুন কমিটি গঠনের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হতে হয়েছে কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেঁধে দেয়া ২২ এপ্রিলের মধ্যেও কমিটি গঠন করা যায়নি। উপেক্ষিত হয়েছে আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বেঁধে দেয়া সময়ও। শেষ পর্যন্ত গত ১৩ মে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়।

৩০১ সদস্যের এ কমিটির অনেক নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়, অপকর্ম ও অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টতা, মাদক গ্রহণ ও ব্যবসা, চাকরিজীবী ও বিবাহিতদের নাম রয়েছেন।

নতুন কমিটিতে জায়গা হয়নি সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা প্রায় অর্ধশত নেতার। তারা ক্ষোভ জানিয়ে কমিটি প্রত্যাখ্যান করলে তাদেরও ওপর দুই দফায় হামলা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ৪ সিনিয়র নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গত সোমবার মধুর ক্যান্টিনে হামলার শিকার এক পদবঞ্চিত নেত্রীকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। ক্ষোভ-অপমানে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। বুধবার দুপুরে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মল চত্বরে পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নিসংযোগ করে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে শোডাউন করে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। কয়েকটি হলে শোভন অনুসারীদের কক্ষে হামলার ঘটনাও ঘটে।

এমন উত্তেজনাকর অবস্থার মধ্যে কনসার্টের অনুমতি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হন।

পরে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চান এবং পুনরায় কনসার্ট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও পরে আর কনসার্ট হয়নি। বৈশাখী আয়োজনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়ও কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ছাত্রলীগ।

এ ছাড়া ‘চমকপ্রদ’ বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় থাকলেও তা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগও রয়েছে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে। গত বছরের নভেম্বরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

পরে মির্জা ফখরুলকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় ছাত্রলীগ। নাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়।

মির্জা ফখরুল বক্তব্য প্রত্যাহার না করলেও, ছাত্রলীগ আলটিমেটাম অনুযায়ী কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। এ ছাড়া ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ নামক সার্ভিস সেন্টার চালুর ঘোষণা, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ ঘোষণা, ‘বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেড’ গঠন এবং সংগঠনের জন্য একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে কমিটি গঠনের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ১০৯টি সাংগঠনিক জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠান ও নতুন কমিটি গঠনে সাফল্য দেখাতে পারেনি ছাত্রলীগ। শাখাগুলোর কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে।

তাছাড়া জেলা কমিটি গঠন না করে কেন্দ্র থেকে কয়েকটি উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এর ফলে সংগঠনের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এদিকে গত ২০ মে ছাত্রলীগ পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যেসব ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই, সেগুলো পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দফতর সেলে জমা দিতে বলেছে।

অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুশিয়ারি দিয়েছেন শোভন-রাব্বানী। যদিও এই নির্দেশনা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কারণ এর আগে এ ধরনের কয়েকটি নির্দেশনা ও ঘোষণা বাস্তবায়ন করেনি ছাত্রলীগ। যেমন, গত ২৪ মার্চ টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলায় ৬ সদস্যের নতুন কমিটি দেয় ছাত্রলীগ।

কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে বলা হয়। তা না হলে কমিটি বাতিল হবে বলেও জানানো হয়। অথচ এক মাসেও এই উপজেলা শাখাটির কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। একই কমিটি বিলুপ্ত হয়নি এবং এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু বলেন, আমাদের সময় কমিটির আকার ছোট ছিল। সেখানে ৫৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি এবং ২১ জন জাতীয় পরিষদ সদস্য ছিল। নেতৃত্ব গঠনের ক্ষেত্রে আমরা খেয়াল রাখতাম মেধা, যোগ্যতা ও ত্যাগ। সিনিয়র নেতারা আমাদেরকে পড়াশোনা ও সংগঠন পরিচালনার সার্বিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতেন। অনৈতিকভাবে আর্থিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করতেন। চাঁদাবাজি, অর্থের নেশা- এসব তখন চিন্তাও করা যেত না। আমি মনে করি, কমিটি বড় হলে নেতৃত্বের মূল্যায়ন থাকে না। এ সময় তিনি ছাত্রলীগের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে কাজ করার আহ্বান জানান। যাতে করে আগামী দিনে দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হয়।

এসবের বাইরে সংগঠন পরিচালনায় রয়েছে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ। ঐতিহ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অধিকাংশ কর্মসূচিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুখ্য ভূমিকায় থাকে।

অথচ নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রলীগের প্রধান এ শাখাটির অভিযোগ, কেন্দ্র যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করে শাখাগুলোকে তা যথাসময়ে জানানো হয় না। সকালের কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে গভীর রাতে, এমন উদাহরণও আছে।

এসব ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ না নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকটি কর্মসূচিতে কেন্দ্রের সঙ্গে না গিয়ে আলাদাভাবে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

এ অবস্থায় ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের অন্তত অর্ধশত বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ডাকসুতে একটি বিদ্রোহী প্যানেল দেয় ছাত্রলীগের একটি অংশ। এ নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই হেরেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

এ ধরনের টালমাটাল অবস্থায় সংগঠন শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বর্তমান কমিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ভূমিকা না রাখতে পারলেও ইতিবাচক কিছু কাজও করেছে।

এ কমিটির সবচেয়ে বড় সাফল্য হল নেতাকর্মীদের মধ্যে ভালো কাজের আগ্রহ সৃষ্টি করা। সর্বশেষ কৃষদের ধান কেটে দিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করার নির্দেশও প্রশংসিত হয়েছে। যদিও সংগঠনের অনেকে এটিকে ‘শো-অফ’ বলেও উল্লেখ করছেন। সূত্র: যুগান্তর