খেলার খবর: আইসিসি ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ে দলের অবস্থান ১০ নম্বরে হলেও বিশ্বকাপে শক্তিশালী দলগুলোকে ধাক্কা দিতে তৈরি আফগানিস্তান! টুর্নামেন্টের মূল প্রতিযোগিতায় নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে সেকথাই যেন বুঝিয়ে দিলেন রশিদ-নবিরা। ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে প্রতিবেশি পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে আফগানরা।
ইংল্যান্ডের কাছে ৪-০তে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর আফগানিস্তানের কাছেও হারল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের লড়াইয়ের আগে চাপেই থাকল সরফরাজ আহমেদের দল। আগামী রোববার বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার সময় কোমরে জোর একটু কম থাকবে তাদের!
প্রস্ততি ম্যাচে ব্যাট হাতে একেবারে টি-টুয়েন্টি মেজাজে ছিলেন হজরতউল্লাহ জাজাই। ব্রিস্টলে এদিন পাকিস্তানি বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে এক ওভারে পাঁচটি চার হাঁকান আফগান বাঁহাতি ওপেনার।
২৬৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ম্যাচের চতুর্থ ওভারে শাহিন শাহর বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ঢঙে ব্যাটিং করেন জাজাই। আফ্রিদির সেই ওভারে ২১ রান নেয় আফগানিস্তান। ম্যাচে জাজাইর সংগ্রহ ২৮ বলে ৪৯ রান। ইনিংস সাজানো ৮টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে৷ মাত্র এক রানের জন্য এদিন অর্ধশতরান মাঠে ফেলে আসেন তিনি।
স্পিনার শাদাব খানের বলে শোয়েব মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন আফগান তরুণ ব্যাটসম্যান। তার আগে অবশ্য অসুস্থতার কারণে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ শাহজাদ। জাজাই-শাহজাদের ওপেনিংয়ে ৮০ রানের ভিতে দাঁড়িয়ে দলকে জয়ের পথ দেখান রহমত শাহ (৩২), সামিউল্লাহ শেনওয়ারি (৩০), মোহাম্মদ নবি (৩৪) ও হাসমতউল্লাহ শাহিদী (৭৪)। ১০২ বলে সাতটি চারের সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন হাসমতউল্লাহ।
একসময় মনে হচ্ছিল, সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। কিন্তু দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানি বোলাররা ম্যাচ নিজেদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছিল। শেষ রক্ষা হয়নি। দুই বল বাকি থাকতে তিন উইকেট হাতে রেখে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের হয়ে ইমাদ ওয়াসিম দুটি এবং মোহাম্মদ হাসনাইন, ওয়াহাব রিয়াজ ও শাদাব খান একটি করে উইকেট নেন।
প্রথমে ব্যাট করে এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ওঠার আগেই ২৬২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১২ রানের ইনিংস খেলেন বাবর আজম। তার ব্যাটে ভর করেই আফগানিস্তানকে ২৬৩ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় সরফরাজ আহমেদের দল।
বাবর ছাড়া ইমাম-উল-হক ৩২ ও অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ৪৪ রানের দামি ইনিংস খেলেন।
বল হাতে এদিন আফগানিস্তানের হয়ে বাজিমাত করেন নবি। ১০ ওভারে ৪৬ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। আরেক স্পিনার রশিদ খান ৯ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ২ উইকেট পান।