প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গতকাল রোববার ২৬ মে ২০১৯ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘‘সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড ক্লাবের দাবী, দিঘীর পাড়ের তৎকালীন পাবলিক লাইব্রেরীর ছাদ তাদের ৯৯ বছরের লীজ নেওয়া’’ শীর্ষক প্রকাশিত খবরসহ আরো ২/১টি পত্রিকায় প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত খবরের প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দৃৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। উক্ত খবরে নিজেকে সাতক্ষীরা ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি দাবী করে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি একেএম আনিসুর রহমান যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তার অধিকাংশই মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। উক্ত খবরে ২৩ মে থানায় বসার কথা ছিল বলে যে তথ্য উত্থাপন করা হয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। এধরনের কোন পত্র থানা থেকে প্রেসক্লাবে পৌছায়নি। প্রকৃত পক্ষে ১৯৬৯ সালে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ দিঘীর পাড়ে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছর তৎকালীন এসডিও জনাব শফিউর রহমান উক্ত লাইব্রেরীর মধ্যেই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব উদ্বোধন করেন। এসময় থেকে দুটি প্রতিষ্ঠান একই সাথে ঐ ভবনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্তিতে ১৯৮১ সালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী নবনির্মিত নিজস্ব ভবন পৌরসভার অডিটরিয়ামের নিজতলায় চলে যায়। সে সময় থেকে দিঘীরপাড়ের উক্ত ভবনটি এককভাবে প্রেসক্লাব ব্যবহার করা শুরু করে। পরবর্তিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার মাননীয় মেয়র শেখ আশরাফুল হক খতিয়ান নং ২/২, জে.এল. নং-৯৪, ১২২৮২, ১২২৮৩ নং রেজিস্ট্রি দানপত্র দলিলমূলে উক্ত ভবনসহ মোট ১০ শতক জমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনুকূলে হস্থান্তর করেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনুকূলে উক্ত জমির মিউটেশন সম্পন্নের পর বর্তমান ১৪২৬ সন পর্যন্ত খাজনাদিও পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে একেএম আনিসুর রহমান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পুরাতন ভবনের দোতলায় অবস্থিত পরিত্যাক্ত ঘরটি তাদের ৯৯ বছর লীজ নেওয়া বলে দাবী করলেও লীজ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। একজন পৌর চেয়ারম্যানের দেয়া প্রত্যায়নপত্রকে তিনি মালিকানার দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন। বর্তমানে প্রেসক্লাবের পুরাতন ভবনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এমতবস্থায় উক্ত ভবনের উপরে যে কোন নির্মাণ/সংস্কার কাজ সেটির ঝুঁিককে আরো বাড়িয়ে দেবে। তাছাড়া একেএম আনিছুর রহমান বেশ কিছুদিন যাবৎ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তিনি উক্ত সংগঠনের কথিত সভাপতি সেজে প্রেসক্লাবের নিজস্ব জমিতে অনধিকার প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা যে কোন মুহুর্তে ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে আরও ঝুকিপূর্ণ করার চেষ্টা করছেন তিনি। আমরা প্রকাশিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রেসক্লাবের সম্পদ রক্ষায় ও সাংবাদিকদের জান মালের নিরাপত্তার বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনসহ সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমতাজ আহমেদ বাপীসাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব