জাতীয়

ডিজিটাল রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে-স্পিকার

By Daily Satkhira

May 27, 2019

দেশের খবর: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা একইসঙ্গে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আজ সোমবার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ই-গভর্নমেন্ট লিডারশিপ সেন্টারে ‘ডেভেলপিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস : অ্যান ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অন ই-গভর্নেন্স’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজের চেয়ারম্যান গোপিনাথ পিল্লাই, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ই-গভর্নমেন্ট লিডারশিপ সেন্টার, এনইউএসের ডিরেক্টর অশোক কুমার।

অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রেখে ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অনন্য। স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলেন। বঙ্গবন্ধুর ভিশন বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত হতো। তবে দেশকে স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনিই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ডিজিটাল রূপান্তরের রূপকার বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, গণযোগাযোগসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিসমূহ জনগণের জীবনযাত্রায় প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, আইসিটির ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্ভাবন নাগরিক সমস্যা সমাধানের পথ স্বচ্ছ ও সহজতর করছে। সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন তথ্য-উপাত্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়া সংসদ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংসদে ই-গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী কর্মশালায় বাংলাদেশ থেকে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মো. ইসরাফিল আলম, মীর মোশতাক আহমেদ রবি, আশেক উল্লাহ রফিক, আয়েশা ফেরদাউস, ওয়াসিকা আয়েশা খান, অ্যারোমা দত্ত, নাহীদ ইজহার খান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারাসহ বাংলাদেশের ১৬ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।