নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালার ধানদিয়ায় শালিসী বৈঠকে বারবর আপোষ করে ঘরবাড়ি অপসারণ করে পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা না মেনে তাল বাহানার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পাটকেলঘাটা থাকান সেনেরগাতী এলাকার মৃত রামপদ মন্ডলের পুত্র রাজকুমার মন্ডল। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সেনেরগাতী মৌজায় জেল নং-৮, দাগ নং- ১৭৭৮, মোট ৫৫ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৪৪ শতক সম্পত্তির মালিক রামপদ মন্ডল গং ১১ শতক, তারাপদ মন্ডল গং ১১ শতক, হাজরা মন্ডল গং ১১ এবং রঘুনাথ মন্ডল গং ১১ শতক। উক্ত সম্পত্তির স্ব স্ব ওয়ারেশ তাদের সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছি। উক্ত ৫৫ শতক সম্পত্তির মধ্যে ১১শতক সম্পত্তির ওয়ারেশ মৃত. ললিত মন্ডলের পুত্র বিমল, কালিপদ, মধু সূদন মন্ডল। কিন্তু তারা সাড়ে ১৮ শতক সম্পত্তি দাবি শুরু করে। এবিষয়ে তারা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে। এ পর্যন্ত মোট ৬ বার শালিসী মিমাংসা অনুষ্ঠিত হয়। শালিসী বৈঠকে তাদের ১৬ শতক জমি মাপ জরিপ করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তারা প্রতিটি বারই আপোষ মিমাংসা করাকালীন সময়ে আপোষ মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেন এবং তাদের বিবাদী অর্থ্যাৎ আমাদের সম্পত্তিতে থাকা পরিত্যাক্ত ঘরবাড়ি ভেঙে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। তাদের ঘর বাড়ি সরিয়ে না নিয়ে এটিও দখলে রাখে এবং শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে পাওয়া সম্পত্তিতে পাকা ঘর বাড়ি নির্মাণ করে দখলে রাখে। হিসাব মতে পাবে ১১ শতক সম্পত্তি। কিন্তু স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির অনুরোধে আমাদের ভাগ কম করে তাদের ১৬ শতক পর্যন্ত বুঝিয়ে দিয়েছি। জমি বুঝে পাওয়ার পর আমাদের বলে তাদের এক পাশে জমি দিতে হবে। সে অনুযায়ী জমির একপাশের্^ নতুন করে দখল বুঝানো হয়। সেখানে পাকা ঘর বাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছে। কিন্তু পূর্বের পরিত্যাক্ত বাড়িঘর না ছেড়ে দুটিই দখলে রাখার পায়তারা অব্যাহত রেখেছে। অথচ প্রতিটি বারই শালিসী বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের পূর্বের পরিত্যাক্ত দুইচালা ত্রাণের ঘর সরিয়ে নেবে। সর্বশেষ শালিসী বৈঠকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য উভয়পক্ষের প্রতিনিধি নির্ধারিত হয়। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিসহ গণ্যামান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উক্ত ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয় বিমল গং। কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের চক্করে পড়ে পরের দিন তারা একটি মিথ্যা বাড়িঘর ভাংচুরের মামলা করে এবং পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের হয়রানি করে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।