আশাশুনি

বুধহাটায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

By daily satkhira

May 28, 2019

মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি: আশাশুনিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা। ঈদের আন্দকে পূর্ণতা দিতে যে জিনিসটা ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না তা’হলো নতুন জামা কাপড়। জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদহ এর মধ্যে দিয়ে পরিবার, আত্মীয় স্বজনকে নতুন কাপড় উপহার দিতে এক দোকান থেকে অন্য দোকান চষে বেড়াচ্ছে ক্রেতারা। যারা পছন্দের নির্দিষ্ট ডিজাইনের দ্বারা নিজের কাপড় বানাতে যান তারা শপিং সম্পন্ন করেছে আগে ভাগেই। তারা এখন ভিড় জমাচ্ছে দর্জি পাড়ায়। প্রথম দিকে ভিড় ছিল থান কাপড়ের দোকান গুলোতে। এখন সে ভিড়কে স্বাগত জানাচ্ছে তৈরি পোশাকের দোকানগুলো। কেনা কাটার জগতে আশাশুনির প্রাণবুধহাটা কেন্দ্র বুধহাটা বাজার ঘুরে সোমবার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা জানালেন, ভাল জিনিস অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাওয়া যায় বিধায় এখানে কেনা কাটা করে স্বাদছন্দ বোধ করেন তারা। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ফারহানা পারভীন নামে একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের আশ-পাশের এলাকার সব চাইতে বড় বাজার বলে আমরা এখান থেকে ঈদের মার্কেট করছি গাউন, থ্রি-পিছ, বাঁচ্চাদের জন্য কাপড়, জুতা ইত্যাদি। তিনি আরও জানান, ঈদের সময় দোকান গুলোতে অনেক ভিড় থাকে তার পরেও এবছর পছন্দের জিনিস কিনতে পেরে আমি অনেক খুশি। বুধহাটা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবছর মেয়েদের গাউন ও ছেলেদের পাঞ্জাবী বেশি বিক্রি হচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতা জানালেন, জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদহে সারাদিন রোজা রেখে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটাছুটি করতে কষ্ট হলেও ঈদের আনন্দের কাছে তা কিছুই না। স্কুল পড়–য়া ছাত্রী তাসনিয়া জানান, রোজা রেখে মার্কেটিং করা অনেক কষ্ট, তার উপর জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড গরম আর মানুষের ভিড়তো আছেই। কাদাকাটি থেকে কেনাকাটা করতে আসা রবিউল ইসলাম জানান, বাবার জন্য পাঞ্জাবী, মায়ের জন্য শাড়ী, বোন ও মেয়ের জন্য থ্রি-পিছ, ছেলের জন্য পাঞ্জাবী ও জিন্স প্যান্ট এছাড়া আত্মীয় স্বজনের জন্য অন্যান্য জিনিস কেনাকাটা করেছি। তিনি আরও জানান, এবছর বাজারের দোকান গুলোতে কালেকশন অনেক ভাল। বাজারের পরিবেশ খুবই ভাল লাগছে। আমি কেনা কাটা করে অনেক আনন্দ পাচ্ছি। ঈদ আসতে বাকী আর মাত্র কয়েক দিন। নতুন কাপড় ঈদ আনন্দের মাত্রাকে বাড়ীয়ে দেবে আরও কয়েক গুন এমনটাই মনে করছে সকলেই। এছাড়া ফুটপাতের গুলোতে আতর, টুপির দোকান সহ কসমেটিক্স দোকান গুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।