অনলাইন ডেস্ক : মহান শহিদ দিবসে জামায়াত নেতার সঙ্গে পিকনিকে অংশ নেওয়া পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. সাইদুজ্জামানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। সোমবার ইউএনওকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়। একইসঙ্গে মঙ্গলবার আটঘরিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ফারুক হোসেনকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
ঈশ্বরদীর ইউএনও শাকিল মাহমুদ ওই বনভোজনে অংশগ্রহণ করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি কোনো বনভোজনে যাননি। আটঘরিয়ার ইউএনও তার উপজেলায় বেড়াতে গেলে তিনি তার সঙ্গে শুধু দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখান কোনো জামায়াত নেতা ছিল কি না, তা তাঁর জানা ছিল না।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালন করে পাবনা জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলামের সঙ্গে পিকনিকে যান কর্মকর্তারা। এঁদের মধ্যে ইউএনও মো. সাইদুজ্জামান, ওসি এস এম ফারক হোসেন, আটঘরিয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার শিপ্রা রানী মণ্ডল অংশ নেন। পরে তাঁরা পদ্মা নদীতে নৌভ্রমণ করেন। এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউএনওকে ওএসডি এবং থানার ওসিকে ক্লোজ করায় তাঁরা খুশি। আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক বলেন, জামায়াত নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলামেরও শাস্তি পাওয়া উচিত। আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, ইউএনওর পক্ষে কোনো সুপারিশ করার প্রশ্নই ওঠে না। এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ফারুক হোসেনকে বিশেষ কারণে পাবনার পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাকসুদা বেগম সিদ্দিকা বলেন, আটঘরিয়ার ইউএনও মো. সাইদুজ্জামানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁকে বদলি করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে পাবনার আটঘরিয়ার ইউএনও, ওসি এবং উপজেলা বেশ কিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা জহুরুল ইসলামের সঙ্গে বনভোজনে ব্যস্ত সময় পার করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠে।