খেলার খবর: তাকে সরিয়ে সিংহাসনটা দখলে নিয়েছিলেন রশিদ খান। কিন্তু বিশ্বসেরার মঞ্চে নামার আগে আফগান তারকার থেকে অলরাউন্ডারদের গদি পুনরুদ্ধার করেছেন সাকিব আল হাসান। রোববার ওভালে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে নেমে সেরা সাকিব গড়েছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
সাকিব এর আগে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন অলরাউন্ডারের শীর্ষে থেকে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ২০১৯ বিশ্বকাপও শুরু করেন শীর্ষে থেকেই। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিনটি বিশ্বকাপে শীর্ষে থেকে শুরু করলেন টাইগার অলরাউন্ডার। শীর্ষে থেকে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র ক্রিকেটার হয়ে গেলেন তাতে। এই ম্যাচে সাকিব ছুঁয়েছেন কীর্তি-রেকর্ডের আরও দুটি পালঙ্ক। নামার আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার মোট রান ছিল ১০৯৯৫। ব্যক্তিগত ৫ রানের সময় দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ১১ হাজারি রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সাকিবের সামনে কেবল তামিম ইকবাল (১২৫৯২ রান)।
অন্য রেকর্ডটিতে সাকিবের সঙ্গি মুশফিকও। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি শতরানের জুটির রেকর্ড ছুঁয়েছেন দুজনে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৯৫ বলে জুটিতে শতরান পূর্ণ করেছেন সাকিব-মুশফিক। এটি তাদের যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে পঞ্চম সেঞ্চুরি জুটি।
পাঁচটি করে শতরানের জুটি আছে আরও দুই ভাগিদারের। জুটিতে পাঁচবার শতরান ছুঁয়েছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তামিম ও সৌম্য সরকারেরও আছে পাঁচটি করে শতরানের যৌথ প্রযোজনা।
বাংলাদেশের হয়ে জুটি বেঁধে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের কীর্তিও সাকিব ও মুশফিক জুটির দখলে। তাদের রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে বিশ্বকাপে চতুর্থবার শতরানের জুটি দেখল বাংলাদেশ। গত আসরে হয়েছিল বাকি তিনটি সেঞ্চুরি জুটি।
সাকিব আরও একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ম্যাচে মাত্র ১টি উইকেট পেলেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৫০টি উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন। তার আগে ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেট ও ৫ হাজার রানের ডাবল আছে মাত্র চারজনের। ২০০ ম্যাচের আগে কেউ এ রেকর্ড ছুঁতে পারেনি। ১৯৯তম ম্যাচেই এ বিরল রেকর্ডের মালিক হওয়ার অপেক্ষায় সাকিব।