কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় বাকি মাত্র ৪দিন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া মিলছে। আগামী ৬ মার্চ সোমবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ আর আনন্দ। এক কথায় উপ-নির্বাচন জমে উঠেছে। আর এই নির্বাচন ঘিরে দুই প্রার্থী দিনভর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচনী পথসভা ও মতবিনিময় সভায় দেখা যাচ্ছে তাদেরকে। উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের টাঙানো পোস্টার আর ব্যানারে। সরেজমিনে ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে নির্বাচন নিয়ে এলাহি কা-। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দিচ্ছে আশার বানী। দুপুরের পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাইকে প্রচার প্রচারনায় মুখোরিত বিভিন্ন ওয়ার্ড। সার্বক্ষণিক প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটারদের কাছে গিয়ে। ভোটারদের নিকট প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং নিজ প্রতীকে তাদের ভোট প্রার্থনা করছেন। থেমে নেই প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজন ও কর্মী সমর্থকরা। উপজেলার ৬৭টি ওয়ার্ডে ১লাখ ৮২ হাজার ২শ’ত ২৯জন ভোটারদের মধ্যে কে হবেন উপজেলার সৌভাগ্যবান ভাইস চেয়ারম্যান সেটাই এখন জনমনে আলোচিত। জয় পরাজয় থাকবেই তবুও বসে নেই কেউ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সবারই মনে। উপজেলাবাসীর মন জয় করতে রাত দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী। তারা হল আওয়ামীলীগ দলিয় মনোনিত প্রার্র্থী জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা। কলারোয়া উপজেলার ২০ দলীয় জোটের ভোটার সংখ্যা বেশি। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন প্রচার-প্রচারণায় সবার শীর্ষ। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পর থেকে র্দীঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন এলাকার মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে। প্রার্থী হিসেবে সর্বমহলের কমবেশি ভোট পাবেন, খুবই যোগ্য, ধর্মভীরু, সৎ মানুষ। এবার নির্বাচনে কোমর বেধে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় তরুণদেরকে প্রাধ্যান্য দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। এদিকে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী শাহাজাদা। এছাড়া গ্রহণযোগ্যতা কোন অংশে কম নয় সব দিক দিয়ে ফিটেস্ট। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে ভালভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে। সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগ এবার শক্ত অবস্থানে। কাজী শাহাজাদা দলীয় সর্মথন না পেয়ে যুবলীগ একাংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরাসারি কাজ করতে দেখা গেছে। তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার পরেও থেমে নেই প্রচার-প্রচারণায় সবার আগে সব খানে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিশেষ করে তরুণদের কাছে প্রতিনিয়ত শুনাচ্ছে আশার বানী এবং উপজেলাকে তিনি দুর্নীতি মুক্ত করতে চান। নিবার্চন কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৮২হাজার ২শ’ত ২৯জন মত ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮৯হাজার ৭’শ ৯৬ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯২হাজার ৪’শ ৩৩ জন। দলিয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, গত পৌর নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে তিনি আজও পর্যন্ত এলাকার মানুষের সুঃখে-দুঃখে পাশে আছেন এবং থাকবেন। কলারোয়া উপজেলার মানুষ অবহেলিত। তাই এ অবহেলিত উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্চ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। আর ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটের মাঠে গিয়ে নিরপেক্ষভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারলে তিনি জয়ী হবেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে তার কর্মীদের বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। পোষ্টার, লিপলেট ছেড়াসহ কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মিথ্য অপ-প্রচার চালাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন। যা তার ভোটারদের মনে আতংক কাজ করছে। আমি মিথ্য অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্র্চ সুস্থ নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী যুুবলীগ সভাপতি কাজী শাহাজাদা বলেন, কলারোয়া উপজেলার অনেক এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সুপীয় পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধ থাকে। এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি ঢোকার মত কোন রাস্তা ভাল নেই। উপজেলাকে তিনি মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিতে চান। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্চ সুস্থ নির্বাচনে তাকে উড়োজাহাজ মার্র্কায় ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনি আশাবাদী।