দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দাদপুর গ্রামের কাজল সরদারের পুত্র বকুল সরদারকে মারপিটের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে সাজানো সংবাদ সম্মেলন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে বিদ্যালয়ের দোষী শিক্ষকগণ। এঘটনায় নিজেদের দোষ ঢাকতে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ফাঁসিয়ে এলাকা ছাড়া করতে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলচলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক হাসান রেজা মুকুল ক্লাস নেয়া বাদ দিয়ে উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্র বকুলকে মারপিট করে সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু। তাদের নির্যাতনে আহত ছাত্র পায়ে ধরেও ক্ষমা পায়নি। বকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তার পরিবার। পর দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জড়িত শিক্ষক ও ইউপি সদস্য বাবলু। এরপর থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় তার পরিবারকে। বিষয়টি বাবুলের পিতা কাজল সরদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদকে জানালে তিনি তৎক্ষণিকভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন সরোজমিনে তদন্তে গেলে স্কুল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা মেলে। এরপর থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে ঘটনার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত শিক্ষক ও ইউপি সদস্য। তাছাড়া অভিযোগকারীরা বিভিন্ন লোক মারফত বকুলের পরিবারের উপর হুমকি প্রদান করছে। কিন্তু এলাকাবসীর প্রশ্ন ছাত্র যদি অপরাধও করে থাকে তাহলেও শিক্ষক কি কোনভাবেই কোন শিক্ষার্থীকে মারতে পারেন? যেখানে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার নির্যাতন একেবারেই নিষিদ্ধ সেখানে শিক্ষকরা লাঠি নিয়ে স্কুলে ঘোরেন কিভাবে? তিনিতো ছাত্র পেটালেনই সাথে আবার ইউপি সদস্যকে ডেকে এনে ছাত্র পোটানোর দায়িত্ব দিলেন! একজন ইউপি সদস্যও বা কিভাবে স্কুলের শিক্ষার্থীকে শাসানোর দায়িত্ব নিলেন?