নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশনির শোভনালীতে মাছের ঘের দখল-পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে আশাশুনি উপজেলার শোভনালি ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা পুলিশ আহসান, আলমগীর ও বৈদ্যনাথ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আহতরা হলেন, আব্দুল কাদের, আলীমুদ্দিন মোল্যা, আলমগীর হোসেন, শরিফুজ্জামান ওরফে মিলন গাজী, ওবায়দুল ও রমজান আলী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বাড়তি পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত মিলন গাজী জানান, সরকার হাজীপুরে ২৪০ বিঘা জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করেন। সেখানে ভূমিহীনরা দীর্ঘদিন উঠতে পারেনা। বশির আহমেদ জোরপূর্বক উক্ত জমি জবরদখল করে ভোগদখল করেন। বুধবার ভূমিহীনরা উক্ত জমি দখলে নেন। এরপর গভীর রাতে বশির আহমেদের সন্ত্রাসী বাহিনী ভূমিহীনদের উপর হামলা করেন ও তাদের ঘর বাড়ি জালিয়ে দেন। এতে ৭/৮ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে সালাউদ্দীন হোসেন লাল্টু জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই বশির আহমেদের দখলে থাকা ৭০ বিঘা জমি বুধবার দখলে নেয় ভূমিহীনরা। এ ঘটনায় তার ভাই বুধবার আশাশুনি থানায় একটি মামলা করেন। উক্ত মামলা দায়েরের পর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তার ভাইয়ের ঘের থেকে ভূমিহীনদের বের করে দিয়ে তার ভাইয়ের লোকজনদের ঘেরের বাসায় তুলে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ চলে গেলে ওই ভূমিহীনরা রাতে আবারও সেখানে যেয়ে ঘেরটি তাদের দখলে নিয়ে নেন। এ খবর শুনে বৃহস্পতিবার সকালে তার ভাইয়ের লোকজন ঘেরে গেলে তারা তাদের উপর হামলা চালান। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। এ ঘটনায় বশির আহমেদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে ভূমিহীনদের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।