আশাশুনি

কাঁকড়াবুনিয়ায় নজরুলের মাছের ঘের জবর দখল

By daily satkhira

June 09, 2019

নিজস্ব প্রতিনিধি : আমি দীর্ঘদিন যাবত আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া ঘেরে মাছ চাষ করে আসছি। আমার ঘেরের ৪৭ বিঘা জমির হারির টাকা শোধ। মেয়াদ আছে এখনও ২০২১ সাল পর্যন্ত। অথচ আমার চার সহোদর ভাই আমার ঘের দখল করে আমাকে সর্বস্বান্ত করে তুলেছে। আমরা ঘেরের তিন লাখ টাকার মাছও লুট করেছে তারা। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন আশাশুনির কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে বাস করেন সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়ায়। নজরুল জানান নিয়মিত হারির টাকা পরিশোধ করে পরিচালিত কাঁকড়াবুনিয়ার ৪৭ বিঘা জমির ওই ঘেরের প্রতি নজর পড়ে তার সহোদর ফজলুল হক সিদ্দিক, আবদুল্লাহ আল মামুন সানা, মো. হামিদুল্লাহ সানা ও হাবিবুর সানার। তিনি জানান গত ৭ জুন তারা বেশ কয়েকজন ভাড়াটে লাঠিয়াল সাথে নিয়ে তার ঘেরে প্রবেশ করে। তারা মাছ লুট ও ঘের দখলের চেষ্টা করলে নজরুলের ঘের কর্মচারি বৈচনা গ্রামের তৈয়েবুর রহমান ও কাঁকড়াবুনিয়ার শাহিনুর গাজি বাধা দেন। এ সময় হামলাকারীরা তাদেরকে পিটিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে জখম করে। তারা কর্মচারি শাহিনুরের গলা টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। ঘেরে তারা তান্ডব চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ঘেরে বেড় জাল ফেলে কমপক্ষে তিন লাখ টাকার বাগদা চিংড়ি ধরে নিয়ে যায়। স্থানীয় রফিকুল সানা, হাসান আলি ও হযরত আলি তাদের তান্ডব দেখে বাধা দিতে না পেরে ভীতু হয়ে পড়েন। ফলে তারা বিনা বাধায় ঘের লুট করে। একই সাথে ঘেরের ২০ বিঘা এলাকায় তাদের জবর দখল কায়েম করে। তিনি বলেন আহত কর্মচারিদের ডাক্তারি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নজরুল ইসলাম বলেন তিনি এ বিষয়ে রিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন আশাশুনি থানায়। অথচ পুলিশ বলেছিল ‘ বিষয়টি দেখবো’। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি, নজরুলের মামলাও রেকর্ড করেনি। ফলে দখলদাররা বহাল তবিয়তে রয়েছে তার ঘেরে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

০৯.০৬.২০১৯