বিদেশের খবর: বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সৌদি কিশোর মুর্তজা কারিরিসকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে সৌদি আরব প্রশাসন, এমন আশঙ্কা করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
২০১১ সালে সৌদি আরবের শিয়া অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগ মুর্তজার বিরুদ্ধে। মুর্তজার বয়স তখন ১০ বছর।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণসহ কয়েকটি অভিযোগে ২০১৪ সালে ১৩ বছর বয়সী মুর্তজাকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ।
সিএনএনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিয়া সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবিতে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সাইকেল ‘বিক্ষোভে’ অংশ নিয়েছে মুর্তজা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মুর্তজার ওপর বিভিন্ন অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য গবেষণা বিভাগের পরিচালক লিন মালৌফ বলেন, ‘নাগরিকদের বিক্ষোভকে দমন করার জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। এমনকি নিতান্তই শিশুদেরও গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে সৌদি প্রশাসন।’
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কেউ অপরাধী প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মুর্তজাকে গ্রেপ্তার করে আল-দাম্মামের একটি কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে রাখা হয়। এক মাস তাকে সেখানে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
মুর্তজার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হলো ‘রাজ্যবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া, জঙ্গি সংগঠনে অংশ নেওয়া বড় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেওয়া, পুলিশ স্টেশনে ককটেল বোমা ছুঁড়ে মারা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলি করা।
শিয়া সংখ্যালঘুদের প্রতি সৌদি সরকারের বৈষম্যের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময়ে এসব বিক্ষোভ করা হয়।
অ্যামনেস্টি জানায়, যেকোনো ধরনের প্রশাসনবিরোধী কর্মকাণ্ড, বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে সৌদি আরব প্রশাসন। মৃত্যুদণ্ড এ ধরনের বিক্ষোভ দমনের অন্যতম হাতিয়ার।
অ্যামনেস্টির মালৌফ বলেন, ‘সৌদি আরবের মৃত্যুদণ্ডকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর একজোট হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’