বিদেশের খবর: জন্মের পর প্রথম যে নার্স তাকে প্রথম কোলে নিয়েছিলেন, তাকে ভুলে যাননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
আর ৯ দিন পরই ৪৯-এ পা দেবেন এ কংগ্রেস নেতা। তার আগে ওয়েনাড সফরে এসে রাহুল দেখা করে গেলেন ৭২ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নার্স এবং ওয়েনাডের ভোটার রাজামমা ভাভাতিলের সঙ্গে।
জড়িয়ে ধরে ছবি তুললেন তার সঙ্গে। হাসিমুখে হাত ধরে কাছে গেলেন। সে ছবি পোস্টও করলেন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ইন্দিরা গান্ধী পৌত্রের জন্মের সাক্ষী রাজামমার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক আজকের নয়। ৪৯ বছর আগে দিল্লির হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে সদ্যোজাত রাহুলকে দুহাতে ধরেছিলেন রাজামমা। তখন তিনি শিক্ষানবিশ নার্স।
রাহুলের দেখভালের ভার ছিল তার ওপরেই। এসব কথা রাহুলকে বলেছেন রাজামমা। মন দিয়ে তার প্রতিটি কথা শুনেছেন রাহুল।
তার জন্মের আগে তার বাবা রাজীব গান্ধী এবং কাকা সঞ্জয় গান্ধী লেবার রুমের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সোনিয়া গান্ধীকে তখন নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে-রাজামমার মনে রয়েছে প্রতিটি মুহূর্তই।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালে কংগ্রেস সভাপতির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
সেই সময়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছিলেন রাজামমাই। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন- রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ফোনে তখন তিনি বলেছিলেন, আমি সেই ভাগ্যবানদের একজন, ওকে প্রথম কোলে তুলে নিয়েছিলাম। কি মিষ্টি ছেলেটা। ওর জন্মের সাক্ষী আমি।
আমরা সবাই তখন উত্তেজিত, ইন্দিরা গান্ধীর নাতিকে দেখছি! বিজেপি নেতার অভিযোগে ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
৪৯ বছর পর তার দেখা সেই মিষ্টি ছেলে তারই দোরগোড়ায়! দৃশ্যতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাজামমা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে।
আমিই প্রথম ওকে কোলে তুলে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সব স্মৃতি এক ঝটকায় মনে ফিরে এসেছে ওকে দেখে।
রাজামমার পাশাপাশি রাহুল বাড়ির অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন- রাজামমার স্বামী ও নাতি-নাতনি। আবার আসবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাহুল তার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় রাজামমা তাকে কাঁঠালের চিপস আর মিষ্টি হাতে ধরিয়ে দেন।