নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ভোমরা ও সংলগ্ন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর আকষ্মিক পরিদর্শন করে গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিমনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। এ সময় তার সাথে ছিলেন ডেপুটি হাই কমিশনার সুরেশ রায়না। ভোমরা বন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জুয়েল হাসান জানান আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় ভারতীয় হাইকমিশনার ভোমরা বন্দরে আসেন। কয়েক মিনিট পর তিনি ওপারে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরও পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কর্মকর্তা যাত্রী সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের কাছে সমস্যার কথা জানতে চান। এ সময় তাকে জানানো হয় বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু ফিরবার সময় তাদের কাছে ওষুধপত্র ও ব্যবহৃত লাগেজ বিএসএফ আনতে বাধা দেয়। এমনকি তাদের পায়ে হেঁটে আসার অক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করে কোনো সাধারন যানবাহনও তাকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়না। অভিযোগ করে তারা আরও বলেন বিএসএফ ভারতীয় এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের আসা যাওয়ার পথেও নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে আমদানি রফতানি বানিজ্যের স্বার্থে এসব শ্রমিকদের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। ভারতীয় এলাকা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক শ্রমিকরা ভোমরা ট্রাক টার্মিনালে প্রবেশ করলেই শৌচাগার ব্যবহার বাবদ তাদের টাকা গুনতে হয় । প্রতিদিন তাদের কাছ থেকে গড় পড়তা পাঁচ শ’ গাড়ি থেকে ২০ টাকা হিসাবে দশ হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জুয়েল হাসান আরও জানান ভারতের দেওয়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসায় নির্দিষ্ট রুট উল্লেখ করা হয়। অথচ বাংলাদেশের দেওয়া ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ভিসায় কোনো রুট উল্লেখ থাকে না। এই বৈষম্য দুর না হওয়ায় যাত্রী সাধারণ নানা সমস্যায় পড়েন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ভারত ভ্রমণে যাত্রী সাধারনের কিছু ব্যবহার্য মালামাল এবং আত্মীয স্বজনদের দেওয়া উপহার সামগ্রী বহনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে বিএসএফ বাধা দেয়। এতে বাংলাদেশি রোগী এবং দুই দেশের ভিজিটররা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান। ভারতীয় হাই কমিশনার ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা প্রশান্ত ঘোষ ও পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তিনি দুই বন্দরের সমস্যা চিহ্ণিত করে তা সমাধানের জন্য কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন।