খেলার খবর: রবীন্দ্রনাথের বঙ্গ দেশে বাস আমাদের। বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক গানের তাই অভাব নেই। কিন্তু টাইগার ভক্তদের মনে কোন বাংলায় গান নয়, এমনকি কোন ভিন্ন ভাষার রোমান্টিক বৃষ্টির গানও নয়। সবচেয়ে বেশি বাজছিল সম্ভবত শিশুতোষ, ‘রেইন রেইন গো অ্যাওয়ে, কাম এগেইন অ্যানোদার ডে’ গানটি। কিন্তু ব্রিস্টলের বৃষ্টি কথা শোনেনি।
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থেমেছে আবার শুরু হয়েছে। মাঠ কর্মীরা কষ্ট করে মাঠ শুকানোর কাজ করেছেন। তো আবার হুট করে বৃষ্টি এসে মাঠ ভাসিয়ে দিয়ে গেছে। আম্পায়ারদের মাঠ পরিদর্শনের জন্য তিন দফা সময় দেওয়া হয়েছে। আবার তা বানচাল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচটি।
মঙ্গলবার ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটি মাশরাফিদের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারান সাকিবরা। দ্বিতীয় ম্যাচে কিউই এবং তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে হারে বাংলাদেশ। আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে তাই পয়েন্ট দরকার ছিল টাইগারদের। মাশরাফিরা একটি পয়েন্ট পেয়েছেনও। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচটা ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিই বেশি হয়েছে।
কারণ এক জয় এবং পরিত্যক্ত দুই ম্যাচ থেকে মূল্যবান দুটি পয়েন্ট পেয়েছেন দিমুথ করুনারত্নেরা। পয়েন্ট টেবিলে বেশ পথ এগিয়ে রেখেছে তারা।
ম্যাচের দু’দিন আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানা যায়। সে অনুযায়ী, ব্রিস্টল বৃষ্টি দিয়েই সকালের শুভেচ্ছা জানায়। নির্ধারিত সময়ে তাই টস হয়নি। তবে টসের নির্ধারিত সময়ের আগে বৃষ্টি থেমে যায়। মাঠ খেলার উপযোগী কিনা স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে চারটা) আম্পায়াররা পরিদর্শন করে দেখবেন বলে জানানো জয়। কিন্তু আবার বৃষ্টি নামায় পরবর্তী সময় দেওয়া হয় বাংলাদেশ সময় ৪.১৫ মিনিটে।
কিন্তু বানচাল হয়ে যায় সেই সম্ভাবনাও। মাঠ খেলার উপযোগী হওয়া তো দূরে যাক আবার শুরু হয় বৃষ্টি। আম্পায়াররা তাই মাঠ পরিদর্শনই করতে পারেননি। শেষ মেষ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ (৬.৫৭ মিনিট) পরিত্যক্ত করা হয় ম্যাচটি। এ নিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ১৩ দিনের মধ্যেই তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো। বিশ্বকাপে যা সর্বোচ্চ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার রেকর্ড। বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হতেও আগে দেখা যায়নি। এর আগে শ্রীলংকা-পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়।