দেশের খবর: বৈশ্বিক শান্তি সূচকে (জিপিআই) বড় ধরনের অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। এই সূচকে গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ৯ ধাপ অবনতি ঘটেছে। গত বছর বিশ্ব শান্তির এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম ছিল। এ বছর অবনমন ঘটে বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে ১০১তম অবস্থানে। তবে এবারের সূচকে ভারত (১৪১তম), পাকিস্তানের (১৫৩তম) চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) বিশ্ব শান্তি সূচক-২০১৯ তৈরি করেছে। সূচকে বিশ্বের স্বাধীন ১৬৩টি দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন, অর্থনৈতিক মূল্য, ট্রেন্ড এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। জিপিআই বলছে, বিশ্ব শান্তি সূচকে ৯ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর ৯৩তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর ১০১তম অবস্থানে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে গত বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ২৯৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ ভাগ।
২০০৮ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ দেশের শীর্ষে থাকা আইসল্যান্ড এবারও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। এরপরই রয়েছে, নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয়), অস্ট্রিয়া (তৃতীয়), পর্তুগাল (চতুর্থ) ও ডেনমার্ক (পঞ্চম)।
বৈশ্বিক শান্তি সূচকের ১৩তম এ সংস্করণে প্রতিবেশী দেশ ভারত রয়েছে ১৪১তম অবস্থানে, পাকিস্তান ১৫৩তম এবং একেবারে তলানিতে আফগানিস্তান (১৬৩তম)।
এ বছরের শান্তি সূচকে বিশ্বজুড়েই সামান্য পরিমাণে শান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে জিপিআই। গড়ে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ হারে শান্তি বেড়েছে। ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৮৬ দেশে শান্তি বাড়লেও কমেছে ৭৬টিতে।
তবে শীর্ষ ২০-এ ঢুকে পড়া দেশগুলোর মধ্যে চমকে যাওয়ার মতো অগ্রগতি হয়েছে ভুটানের। গত ১২ বছরে ৪৩ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে দেশটির। গত বছর এ তালিকায় ১৯তম অবস্থানে থাকলেও এবার দেশটি ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে।
গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া সূচকের তলানিতে থাকলেও এবার আফগানিস্তান সেই স্থান দখল করেছে। আফগানিস্তান ১৬৩তম, সিরিয়া ১৬২তম, দক্ষিণ সুদান ১৬১তম, ইয়েমেন ১৬০তম এবং ইরাক ১৫৯তম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে বসবাসরতদের ৮১ শতাংশই জলবায়ু উদ্বাস্তু। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে তারা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে ১৬ শতাংশ ভূমি হারিয়ে যাবে।