দেশের খবর: আগামী জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে খুলনায় অবস্থিত দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার তৈরির কারখানায় উৎপাদন শুরু হতে যাচ্ছে।ইতোমধ্যে কোম্পানি গঠনসহ উৎপাদনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার তৈরির লক্ষ্যে যৌথ কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়নার হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার চুক্তি সই করা হয়।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নির্ধারিত ‘বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড’ নামে কোম্পানির নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটি অনুমোদন পায়। তবে বছর না গড়াতেই আগামী জুলাই মাসেই উৎপাদন শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।
খুলনা মহানগরীর মোহাম্মদনগরে প্রাথমিকভাবে এই কাজ শুরু হয়। পরে নগরীর শেখপাড়ায় ওজোপাডিকোর নিজস্ব জায়গায় স্থায়ীভাবে উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করা হবে। এই কাজের জন্য ২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কমপক্ষে দুইশ জনের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানা গেছ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দুই শিফটে ১০ লাখ মিটার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) কোম্পানি সচিব আব্দুল মোতালেব বলেন, এ কোম্পানির মাধ্যমে বর্তমান বাজার মূল্য থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কমমূল্যে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। উৎপাদিত স্মার্ট প্রিপেইড মিটার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা যাবে। উৎপাদিত স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ফলে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বিদেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কারিগরি বিষয়েও অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে সকল প্রিপেইড মিটার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়সহ অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া কারিগরি বিষয়ে রফতানিকারক দেশের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং চীনের যৌথ উদ্যোগে সরকারের অনুমোদনক্রমে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ম্যানুফ্যাকচারিং/অ্যাসেম্বলিং কোম্পানি গঠন করা হয়েছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিক উদ্দিন জানান, এই কোম্পানির মাধ্যমে উৎপাদিত স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাংলাদেশে সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সহজে সরবরাহ করা যাবে। ফলে আমদানির জন্য সময় নষ্ট হবে না। এ কোম্পানির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এতে করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।