বিদেশের খবর: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের ইতি টানতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছে তার দেশের ছয় শতাধিক কোম্পানি। বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে কোম্পানিগুলো বলেছে, বাণিজ্য যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার করা হয়েছে একে অপরের দেশের কোম্পানিগুলোর ওপর শুল্কারোপ।
এটা মার্কিন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। গত বছর চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অনেক কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
এর আগে বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে যে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ট্রাম্পের কাছে চিঠি লেখে যুক্তরাষ্ট্রের জুতা শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত খ্যাতনামা ১৭২টি প্রতিষ্ঠান। এবার সম্মিলিতভাবে অনুরোধ জানাল ওয়ালমার্ট ও টার্গেটসহ মার্কিন ৬ শতাধিক কোম্পানি। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন কোম্পানিগুলোর এই সম্মিলিত চিঠি এমন সময় পাঠানো হল যখন দেশটির প্রায় সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে শুল্কবিরোধী প্রচারণায় নেমেছে।
পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করে বাণিজ্য যুদ্ধবিরোধী জাতীয় প্রচারণা শুরু করেছে দেশটির কৃষি, উৎপাদন, খুচরা বিক্রেতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় দেড় শতাধিক সংগঠন।
বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ট্রাম্প। আগামী ২৮-২৯ জুন জাপানের ওসাকায় ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি-২০’র বৈঠক রয়েছে।
সেখানে সম্মেলনের এক ফাঁকে সম্ভাব্য বৈঠকে যদি সমঝোতা না হয় তবে চীনের সব পণ্যেই শুল্কারোপ করা হবে বলে ট্রাম্প হুশিয়ারি দেন।
কোম্পানিগুলো ট্রাম্প বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়ে জানায়, ‘বাণিজ্য যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার শুল্কারোপ মার্কিন ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
আমরা পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। চীনের অন্যায্য বাণিজ্য রুখতে শুল্কারোপ কখনই যথাযথ হাতিয়ার হতে পারে না।
কেননা শুল্কারোপের কারণে আরোপিত কর চীন পরিশোধ করছে না বরং মার্কিন কোম্পানিগুলোকেই পরিশোধ করতে হচ্ছে।’ গত বছরের এই সময় থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘চীনে মার্কিন প্রযুক্তি ও মেধা সম্পদের অন্যায্য হস্তান্তর’ বন্ধ করতে এবং নিজ দেশে কর্মসংস্থান সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের শুল্ক আরোপ করছেন।