বিদেশের খবর: ভারতের বিহারে তীব্র দাবদাহে ৪০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। শনিবারই বিহারের আওরঙ্গবাদ, গয়া ও নাওয়াডা জেলায় অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আওরঙ্গবাদেই ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি মাসে বিহারের মুজাফফরপুর জেলায় ইনসেফালিটিস সিন্ড্রমের প্রাদুর্ভাবে ৭৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আওরঙ্গবাদের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুরেন্দ্র প্রসাদ সিং জানিয়েছেন, তীব্র দাবদাহে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বহু মানুষ। এএনআইকে ড. সুরেন্দ্র প্রসাদ সিং বলেন, যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগই তীব্র জ্বরে ভুগছিলেন।
তীব্র দাবদাহে গয়ায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন গয়া এতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, এটা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক যে তীব্র গরমে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এই গরমে লোকজনকে বাড়ির মধ্যেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে গরম কমলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে। তিনি বলেন, তীব্র গরম আমাদের মস্তিষ্কে নানা ধরনের প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের সূত্রপাত ঘটায়।
চলতি বছর ভারতকে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে হচ্ছে। আগের সব বছরের তুলনায় অনেক বেশি গরম পড়েছে এবার। দেশটির চার শহরে তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। দিল্লি, রাজস্থানের চুরু ও বানদা এবং উত্তর প্রদেশের আল্লাহাবাদে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেশি গরম পড়েছে।