খেলার খবর: চলমান বিশ্বকাপে দারুণ উজ্জ্বল সাকিব আল হাসানের ব্যাট। এখন পর্যন্ত সবকটি ম্যাচেই দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আজ সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানের মাইলফলক গড়েছেন বিশ্বসেরা এই ব্যাটসম্যান।
আর এই রেকর্ডের দিনে আরো একটি অর্জন জমা পড়েছে সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে। ১২৪ রান করে বিশ্বকাপে রান সংগ্রহের ক্ষেত্রে সবার ওপরে উঠে গেছেন তিনি। চার ম্যাচে দুটি হাফঞ্চেুরি ও দুটি সেঞ্চুরিতে এই কীর্তি গড়েন তিনি। চলমান বিশ্বকাপে সাকিবের মোট রান ৩৮৪।
এদিকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ২০২ ম্যাচে নয়টি সেঞ্চুরি ও ৪৫টি হাফসেঞ্চুরিতে ৬১০১* রান করেন তিনি।
সাকিবের আগে বাংলাদেশের হয়ে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এই ম্যাচে নামার আগে ১১টি সেঞ্চুরি ও ৪৬টি হাফসেঞ্চুরিতে ছয় হাজার ৬৯৫ রান করেছেন তিনি।
চলামন বিশ্বকাপে সাকিব বাংলাদেশের প্রথম তিন ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ম্যাচে ৮৬ দশমিক ৬৬ গড়ে ২৬০ রানের পাশাপাশি বল হাতে এ পর্যন্ত তিন উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আর এবারের বিশ্বকাপেই ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের ২৫০তম উইকেট শিকার করেন সাকিব। তাই ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুত পাঁচ হাজার রান করার পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড করেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। রেকর্ডের দিন তিনি খেলেছিলেন ১৯৯তম ম্যাচ।
চলমান বিশ্বকাপে সাকিবের ঝুলিতে জমা পড়েছে আরো কয়েকটি রেকর্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০০তম ম্যাচ খেলেন এই বিশ্বকাপেই।
এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে দুজন ২০০ বা তার চেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহিম। মাশরাফি ২১৩ এবং মুশফিকুর রহিম ২০৯তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন আজ।
এ ছাড়া তামিম ইকবাল ১৯৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৭৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশ দলের হয়ে। আর সাকিব খেলছেন ২০২ ম্যাচ।