এসএম বাচ্চু,তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: ভাই, আর বইেলন না, গত দ’ুিদন ধইরা কী ভাপস গরম পড়েছ। গরমে জানডা কাহিল হইয়া পড়েছ। ঘরে বাহির কোন জায়গায় শান্তি পাই না । তাছাড়া হঠাৎ গরম পড়ার কারনে বয় বৃদ্ধ,শিশুদের রোগও বালাই বাড়াই চলছে এমনি গ্রাম্য ভাষায় কথাগুলো প্রতিবেদককে বলছিলেন ভ্যান চালক আমজেদ । ভাপসা গরমে খেটে খাওয়া মানুষদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। রিকশাচালক, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিন মজুররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। খোলা আকাশের নিচে অসহ্য রোদের তাপে তারা ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ফুটপাথ থেকে তরমুজ, লেবুর শরবত ইত্যাদি খেয়ে তৃষ্ণা মিটাতে দেখা গেছে অনেককে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সতর্কতার সঙ্গে নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে সরজমিনে দেখা যায়,উপজেলার বিভিন্ন ডাক্তার খানা ও ক্লিনিকগুলোতে তীব্র গরমে অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ কে। বাজারের বেশীর ভাগ ওষুধের ফার্ম্মেসী গুলোতে জ্বর, কাশি, এলার্জি, পেটের ব্যথা, মাথা যন্ত্রনার, ডায়রিয়ার ওষুধ বেশী নিতে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ডাক্তারা বলেন, শরীর থেকে ঘাম ঝরে দুর্বল অতঃপর অসুস্থ হওয়ার কারণে বেশি বেশি স্যালাইন খেতে হবে আর যত সম্ভব রোধ এড়িয়ে চলতে হবে। তবে দিন আনা দিন খাওয়া খেটে খাওয়া মানুষ গুলো পড়েছে নিদারুণ যন্ত্রণায়। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে তাদেরকে রোদের মধ্যে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দু’মুঠো খাবার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এদিকে গৃহ পালিত পশু ও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৈশাখ থেকে শুরো হওয়া দূর্বিসহ গরমে মানুষ কষ্টে রয়েছে। তার উপরে বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি খেলাতো আছে। দেশের অন্যান্যে জেলার তুলনায় সাতক্ষীরায় বৃষ্টি কম হওয়ায় গরমের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। আবহওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়,তালা উপজেলায় আজ তাপমাত্রা ৩০-৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে । বৃহ:বার ৩৫-৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা একই ভাবে ৪-৫দিন এমনি তাপমাত্রা উঠা নামা করার সম্ভাবনা রয়েছে ।