লেখার খবর: উন্মুক্ত বিশ্বকাপ বলে একটা প্রত্যয় আসর শুরুর আগেই শোনা যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তান প্রত্যয়ের পালে হাওয়া দেয়। এরপরই বিশ্বকাপ যেন প্রেডিক্টেবল হয়ে যায়। সেমিফাইনালের চার দলের নাম যেন ঠোঁটের আগায় চলে আসে। বাংলাদেশ তাও বড় দল কাবু করে বার্তা দিচ্ছিল। শ্রীলংকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সেখানে ব্যর্থ। বিশ্বকাপের রঙ চড়ার যে এখনও ঢের বাকি! বিশ্বকাপের টপ ফেবরিট, র্যাংকিং সেরা দল এবং স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে সেটাই প্রমাণ করল শ্রীলংকা।
হেডিংলির লির্ডসের সঙ্গে শ্রীলংকার সনাথ জয়সুরিয়া এবং উপুল থারাঙ্গার নাম জড়িয়ে আছে। এখানে ইংলিশদের বিপক্ষে দু’জনে ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেই মাঠে শুক্রবার হাথুরুসিংহের শিষ্যরা তোলেন ৯ উইকেটে ২৩২ রান। তাও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ৮৫ রানের ওপর ভর করে। দুর্দান্ত ইংল্যান্ডের কাছে মামুলি রানই মনে হচ্ছিল। কিন্তু মালিঙ্গার দুর্দান্ত বোলিংয়ে এবং ডি সিলভার তোপে ২১২ রানে থামে ইংল্যান্ড।
ইনিংসের শুরুতে মালিঙ্গার তোপে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। শূন্য রানে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। জেসন রয়ের বদলি নামা জেমস ভিন্সি ১৪ রান করে ফেরেন। এরপর জো রুট ৫৭ এবং দলীয় অধিনায়ক ইয়ন মরগান ২১ রানে ফিরলে মাঝ দরিয়ায় নাউ ডোবে ইংল্যান্ডের। ম্যাচ তিরে ভেড়াতে একটা ভরসা দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। কুবের মাঝির মতো শুকনো কাঠ ধরে তিরের দিকেই ছুটছিলেন বেন স্টোকস। কিন্তু তার সঙ্গীরা সব একে একে দলকে ডোবাতে শুরু করেন। হার না মানা ৮২ রানের ইনিংস খেলেও তাই স্টোকস পরাজিত দলে।