খেলা

শ্রীলংকাকে জবাবটা ভালোই দিচ্ছে বাংলাদেশ ; সৌম্য ৬৬*

By Daily Satkhira

March 08, 2017

এর চেয়ে ভালো শুরু আর হয় না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিও গড়ে ফেললেন তামিম-সৌম্য। ব্যাটিংয়ে দিনটা তাই হতে যাচ্ছিল বাংলাদেশেরই। কিন্তু তামিমের ভুলে শেষটা ঠিকঠাক রাঙিয়ে নিতে না পারলেও জবাবটা ভালোই দিচ্ছে সফরকারীরা।

উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান যোগ করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সেঞ্চুরি ছাড়ানো জুটি গড়ার পথে তারা আবার লঙ্কানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানও যোগ করে ফেলেন। যদিও শেষ বিকেলে তামিমের বোকামিতে দিনের শেষটায় উৎসবে মেতে উঠে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৩ রান। এখনও পিছিয়ে আছে মুশফিকরা ৩৬১ রানে। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন অপরাজিত থাকা সৌম্য ও মুশফিকুর রহিম। সৌম্য দিন শুরু করবেন ৬৬ রান নিয়ে, আর তাকে সঙ্গ দেবেন ১ রান করা মুশফিক।

তামিমের ভুল কিংবা মুমিনুলের হকের আউটটা বাংলাদেশকে খানিকটা যন্ত্রণা দিলেও প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত পারফরম্যান্স আশার বাণীই শোনাচ্ছে সফরকারীদের। লঙ্কানদের মাঠে তাদের স্পিনারদের সামনে তামিম-সৌম্যর সাবলীল ব্যাটিংই বলে দিচ্ছে এই উইকেটে হতে যাচ্ছে রান উৎসব।

শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার এগিয়ে নেন দলের রান। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সৌম্যের পর হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। শ্রীলঙ্কাকে ৪৯৪ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ দুই ওপেনারের উদ্বোধনী জুটিতে পেয়েছে নতুন এক রেকর্ড। লঙ্কানদের বিপক্ষে তামিম-সৌম্যর এই জুটিই ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। অবশ্য তাদের এই রেকর্ড গড়ার পেছনে অবদান আছেন স্বাগতিক ফিল্ডারদের! সৌম্য ও তামিম-দুজনই যে জীবন পেয়েছেন একবার করে! সুরঙ্গা লাকমালের বলে গালিতে সৌম্যর সহজ ক্যাচ ছাড়েন দিলরুয়ান পেরেরা। আর তামিমের ক্যাচ মিস করেন উইকেটরক্ষক ডিকবিলা।

শেষ বিকেলে পাওয়া সুযোগগুলো আর নষ্ট করেনি শ্রীলঙ্কা। দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। তামিমের পর আউট হয়ে যান যে মুমিনুল হকও। ক্রিজে এসে মানিয়ে নেওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন মুমিনুল। মাত্র ৭ রান করে দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার আউটে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট।

তার আগে নিজের দোষে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন তামিম ইকবাল। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। তার আউটেই বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট।

দারুণভাবে ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন তামিম। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন দলের রান। কিন্তু নিজের ভুলেই ফিরতে হলো তাকে। লাকশান সান্দাকারের বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবিলার গ্ল্যাভসে। শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়রা আবেদন করেন ক্যাচ আউটের। আম্পায়ারকে সেই ডাকে সাড়া দিতে হয়নি, তামিম ক্রিস থেকে বেরিয়ে রান নিতে চাইলে ডিকবিলার গ্ল্যাভস স্টাম্পে লাগাতে দেরি হয়নি। তাতে রান আউট হয়ে ফিরে যান বাংলাদেশি ওপেনার।

প্রশ্ন হলো, যেহেতু তামিমের প্যাডে বল লাগেনি, এর মানে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়রা আবেদন করেছিলেন কট বিহাইন্ডের। তামিমের সেটা সবচেয়ে বেশি ভালো বোঝার কথা। কারণ তার বিরুদ্ধেই উঠেছে আবেদন। অথচ বোকার মতো ছুটলেন রান নিতে। গ্ল্যাভসে জমা পড়া বল স্টাম্পে লাগাতে আর কতক্ষণ লাগে ডিকবিলার। নিজের দোষে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা তামিমের চমৎকার ইনিংসের মৃত্যু ঘটে যায় তাই ৫৭ রানেই।