নিজস্ব প্রতিবেদক : শারীরিক নির্যাতনে গর্ভপাতের কারণে জন্মগ্রহণ করা শিশুটি নয় ঘণ্টা পর মারা গেছে। সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মারা যায়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আশাশুনি উপজেলার রাধারহাট গ্রামের ফাতেমা খাতুন জানান, তাদের গ্রামের খোকন মল্লিকের চিংড়ি ঘেরের একটি কাঁকড়া ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকেসহ তার পরিবারের ছয়জনকে শাবল দিয়ে ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। নির্যাতনের সময় তিনি ছয় মাসের অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। শুক্রবার রাতে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তলপেটে আঘাত জনিত কারণে সোমবার বিকেল চারটার দিকে তার অপুষ্ট পুত্র সন্তান ভুমিষ্ট হয়। অভিযোগ, হাসপাতালের সেবিকা ও ডাক্তারদের সহযোগিতা ছাড়াই তার অপুষ্ট সন্তান প্রসব হয়। নবজাতককে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ চিকিৎসা না দিতে পারায় সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে মারা যায়। যদিও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাফিজুল্লাহ জানান, মায়ের গর্ভে থাকা ছয় মাসের শিশুটির তার সর্ব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গড়ে ওঠেনি। তার উপর গর্ভে থাকাকালিন মায়ের উপর নির্যাতনে তার অবস্থা ভাল ছিল না।