আসাদুজ্জামান : দেবহাটায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে উত্তপ্ত সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা। হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বুধবার সকাল থেকে উপজেলাব্যাপী ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলাব্যাপী সকল সভা-সমাবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলাব্যাপী দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনসহ জননিরাপত্তা নিশ্চিতে উপজেলার সখিপুর মোড়, সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ মোড়, পারুলিয়া শহীদ আবু রায়হান চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে বিরোধের জেরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ঝুকিপুর্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীন বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ, সখিপুর মোড় ও পারুলিয়াতে একাধিকবার হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনের বাবা শামছুর রহমান খোকন, সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়জুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ, ছাত্রলীগ নেতা রনি আহমেদসহ দুই গ্রুপের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। আপরদিকে, ঘটনার বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেন সজীব নামের একজন। তিনি বলেন, ব্যাস্ত আছেন পরে যোগাযোগ করেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে দেবহাটায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।