খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপের পর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গত মে’তে স্বেচ্ছা বিশ্রাম কাটিয়ে ফেরেন লিওনেল মেসি। কিন্তু মেসির জাতীয় দলে ফেরাটা সুখকর হয়নি। স্পেনে ওই ম্যাচে ৩-১ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। মেসি, আর্জেন্টিনা এবং কোপা আমেরিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। সেই ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ওঠে গেছে সেমিফাইনালে।
মঙ্গলবার বেলো হরিজন্তে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে স্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হবেন মেসিরা। এখন কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ‘সুপার ক্লাসিকো’ দেখার অপেক্ষা। বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ভক্তরা ক্রিকেট বিশ্বকাপের মধ্যে তাই আলাপ-সালাপ করার নতুন খোরাক পেলেন।
ম্যাচের শুরুতেই আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালের টিকিট বুকিং দিয়ে ফেলে। আগুয়েরোর দেওয়া বল ধরে ১০ মিনিটের মাথায় গোল করেন তরুণ স্ট্রাইকার লউতেরো মার্টিনেজ। কিন্তু বুকিং দেওয়া টিকিটটা নিশ্চিত করতে পারছিলেন না মেসি-আগুয়েরোরা। এক গোলের লিড। বল দখলে এগিয়ে ভেনেজুয়েলা। যে কোন মুহূর্তে গোলটা শোধ দিয়ে দেওয়ার ভয়টা মেসিদের ছিল। তবে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লো চেলসো গোল করে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন। ফুটবল ভক্তদের চোখ টিভি পর্দায় সেটে থাকার মতো এক সেমির অপেক্ষা তৈরি করেন।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি যে ছকে খেলিয়েছেন পাড় ভক্তদেরও তাতে খটকা লাগতে পারে। তবে এক পেশে ম্যাচ হলেও ভক্তদের জন্য উপভোগ্য বলা চলে। ভেনেজুয়েলা ম্যাচের প্রায় ৬০ ভাগ বল দখলে নিয়ে খেলেছে। ছোট পাসে খেলা আলবেসেলেস্তেদের জন্য যা কিছুটা ভিন্ন ছক। বল দখল করে খেলাই যে মেসিদের রক্তে মিসে আছে।
তবে আর্জেন্টিনার আক্রমণ ছিল দেখার মতো। গোলের লক্ষ্যে এবং বাইরে তারা ১৪টি শট নিয়েছে। সেখানে প্রতিপক্ষকে শট নিতে দিয়েছে মাত্র তিনটি। আর্জেন্টিনার রক্ষণ নিয়ে সব সময়ই থাকে প্রশ্ন। তারাও তাই দারুণ করেছে মানতে হবে। এখন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য সমতা করে টাইব্রেকারে জিতে সেমিতে যাওয়া ব্রাজিলকে তারা পরীক্ষা নেবে এ কথা বলাই যায়।