খেলার খবর: ইংল্যান্ডের স্কোর চারশ’ হবে নাকি সাড়ে চারশ’। ইনিংসের শুরুতে এটা নিয়েই বেশি আলাপ হয়েছে। দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টো দুর্দান্ত শুরু করেন। তবে ভারত মধ্যে ইংল্যান্ডের রান চাকা টেনে ধরে। তারপরও বড় সংগ্রহ পেয়েছে ইংল্যান্ড। ভারতের সামনে দিয়েছে ৩৩৮ রানের লক্ষ্য। তবে এজবাস্টনের উইকেট অনুযায়ী, এই রান টপকে জেতা ভারতের জন্য অসম্ভব নয়।
ইনজুরি থেকে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলে ফেরেন জেসন রয়। ইংল্যান্ড যেন তাদের ব্যাটিংয়ের ধারও খুঁজে পায়। বেয়ারস্টোর সঙ্গে তিনি গড়েন ১৬০ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর রয় ফিরে যান ৫৭ বলে ৬৬ রান করে। তবে বেয়ারস্টো সেঞ্চুরি করেই ফেরেন। খেলেন ১০৯ বলে ১১১ রানের ইনিংস। দশটি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আউট হয়ে ফেরার সময় ইংলিশ দর্শকরা তাকে ‘স্টাডিং অভেয়েশন’ দেন।
বেয়ারস্টো ফিরতেই ইংল্যান্ডের রানের গতি স্লথ হয়ে যায়। তার আউটের পরই মাত্র ১ রান করে ফিরে যান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। এরপর জো রুট এবং বেন স্টোকস আবার জুটি গড়েন। ইংল্যান্ডকে রানের ধারায় ফিরিয়ে আনেন। রুট ফিরে যান ৪৪ রান করে। স্টোকসের সঙ্গে তিনি চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭০ রানের জুটি।
বেন স্টোকস শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৪ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। না হলে শামির তোপে পড়ে উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে আরও কিছু কম রানে আটকাতে পারত ভারত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এ ম্যাচে মোহাম্মদ শামি ১০ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এ নিয়ে বিশ্বকাপের টানা তিন ম্যাচে কমপক্ষে চার উইকেট নিলেন তিনি। এছাড়া বুমরাহ এবং কুলদীপ যাদব নেন একটি করে উইকেট।