নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এ উপলক্ষে বিকেল সাড়ে চারটায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সাতক্ষীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ফিতাপ কেটে রথযাত্রার উদ্ধোধন করেন জেলা আওয়ামী লেিগর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার হিন্দু নারী , পুরুষ ও শিশু। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এ রথযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে বৃহষ্পবিার সকাল থেকে পুজা অর্চনা চলে মায়ের বাড়িতে। আগামি ১২ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মাধ্যমে এর সমাপ্তি হবে। এর আগে দুপুর দু’ টোয় মায়ের বাড়িতে রথযাত্রা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মণ্ডলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের মহারাজ কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, সহসভাপতি অ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সাধারণ সম্পাদক সনাতন দাস, ডাঃ সুশান্ত ঘোষ, ডাঃ হরষিৎ চক্রবর্তী, ধীরু ব্যানার্জী, জীতেন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাণনাথ দাস, দীলিপ চ্যাটার্জী বিকাশ দাস প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস মতে জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর । জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছে ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরুপে তার আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের উপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমুর্তি রেখে রথ টানেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ ছাড়া সাতক্ষীরার কাটিয়া মায়ের বাড়ি থেকে একটি রথ সাতক্ষীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মায়ের বাড়ি যেয়ে শেষ হয়। এর আগে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সদরের ঝাউডাঙা, ধুলিহর, তালা, কলারোয়া, দেবহাটা , আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রা উদযাপিত হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে নয় দিন ব্যাপি হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরন, পদাবলী কীর্তণ, আরতি কীর্তণ, ভগবদ কথা, শ্রীমদভগবৎ গীতা পাঠ এর আয়োজন করেছে কাটিয়া মায়ের বাড়ি ও পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি।