প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মা হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে বিচার দাবি করে এমনিতেই পথে পথে ঘুরছেন সাইফুল ইসলাম। তার ওপর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হুমকি ধামকি দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য শাসাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। আতংকিত হয়ে সাইফুল এখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকছেন। শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পাঁচপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন মা খুন হয়েছেন। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সাইফুল বলেন তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার ছালাম সরদার, কালাম সরদার, মইজউদ্দিন সরদার, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন ও লাল্টু সরদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১২ জুন প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা লাঠিসোটা দা কুড়াল নিয়ে সাইফুলদের ওপর হামলা করে। ঠেকাতে গেলে সাইফুলের মা জাহানারা খাতুনের মাথায় লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। সাইফুল ও তার বাবাসহ অন্যরাও আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তার মাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি বলেন খবর পেয়ে পুলিশ এসে বন্ধ করা যাতায়াতের পথ খুলে দেয়। তিনি আরও বলেন তার মাকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম ছয় জনকে আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে চারজন আদালতে হাজির হলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। লিখিত বক্তব্যে সাইফুল বলেন এখনও বাইরে থাকা প্রধান আসামি ছালাম ও ৪ নম্বর আসামি আলমগীর তাদের ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। তারা মামলা তুলে নিতে বলছে। অন্যথায় আমাদের পরিণতি আমার মার মতো হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি এ মামলার সাক্ষিদেরও হুমকি দিচ্ছে তারা। তিনি বলেন সাইফুলের পেছনে তারা কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছে। তারা যেকোনো মুহুর্তে তার ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের খুন জখম করতে পারে। এ কারণে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে অন্যদের বাড়িতে থাকছেন বলে জানান সাইফুল। সাইফুল তার মার ঘাতকদের সবাইকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন।