নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জনসস্মুখে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলামকে হাত পা ভেঙ্গে কাঁকশিয়ালী নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি প্রদানসহ তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীরা হুমকিদাতা উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীকে বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। গতকাল শনিবার কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজ ক্যাম্পাসে এই মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলামকে লাঞ্চিত ও প্রাণনাশের হুমকিদাতা উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের কলেজ চত্ত্বরে গিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে মিলিত হয়। কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ নাজির বাবুর সভাপতিত্বে ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিব আহমেদ নাহিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সাকিব হাসান, আমিরুল ইসলাম, মিরাজ হোসেন, সাগর হোসেন, আফজাল হোসেন, সুমন হোসেন প্রমুখ। প্রায় ঘন্টাব্যাপি কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, গত ৩ জুলাই বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অফিসিয়াল কাজে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী অধ্যক্ষের সাথে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তার সূত্রপাত করেন। একপর্যায়ে সাঈদ মেহেদী অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলামকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করেন ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এসময় তিনি অধ্যক্ষকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হওয়ার পাশাপাশি কুৎসিত ভাষায় তাকে গালিগালাজ করেন। এই হুমকি ও গালিগালাজের ঘটনা অধ্যক্ষ তার নিজের মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং করছেন এমন ধারণা থেকে সাঈদ মেহেদী মোবাইল কেড়ে নিয়ে মেমরি কার্ড ডিলিট করে দিয়ে জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এসময় বক্তারা আরও বলেন, সাঈদ মেহেদী গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্য নৌকার বিরোধীতা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করেছেন। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে জামায়াত-শিবিরের পৃষ্টপোষকতায় অবৈধ পন্থায় নির্বাচনে জিতে বর্তমানে পেশী শক্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। মানুষের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, সম্মানহানি করছেন। এমনকি দলীয় নেতাকর্মীরাও তার নগ্ন থাবা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না। সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।