দেবহাটা ব্যুরো : সন্তান ও গচ্ছিত টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রওশন আলী মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান (আলামিন)। শনিবার সকাল ১০টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ২০১২ সালে দেবহাটা উপজেলার চর শ্রীপুর গ্রামের মৃত মান্দার আলীর ছোট মেয়ে মোসলেমা খাতুনকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ করি। ২০১৩ সালে আমাদের পরিবারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। আমাদের সংসার আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পাসপোর্টের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে স্ত্রী সহ ভারতের তামিলনাড়– রাজ্যে গেঞ্জি ফ্যাক্টারীতে কাজ করতে যায়। সেখান থেকে ফিরে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা সেনাবাহিনীর আওতায় নদী ভাঙ্গন রোধে কর্মচারী কাজ করায় সেখানে রান্নার কাজে কর্মরত আছি। ঢাকায় যাওয়ার পূর্বে সংসার খরচ বাদে ভারতের উপার্জিত প্রায় দেড় লক্ষ টাকা আমার স্ত্রীর হাতে দিয়ে যাই এবং ঢাকাতে যেয়ে উপার্জিত টাকা বিকাশের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর ভাই আবু জাফর এর মোবাইলের মাধ্যমে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা করে ৬ মাসে ষাট হাজার টাকা আমার স্ত্রীর কাছে প্রেরন করি। আমি বাড়ি না থাকার সুযোগে আমার অজান্তে আমার স্ত্রী পাশ^বর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আহছান উল্লাহর ছেলে শাহজাহান আলীর সাথে গোপনে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সুবাদে গত ৩০/০৬/২০১৯ তারিখে গভীর রাতে শাহজাহান আলী আমার ঘরে প্রবেশ করলে আমার পরিবারের লোকজন তাদের উভয়কে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলে। আমি ঢাকায় থাকায় পরের দিন ০১/০৭/২০১৯ তারিখ সকালে ইউপি সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, আমার স্ত্রী ও শাহাজাহানের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আমার স্ত্রী এবং শাহজাহানের লিখিত স্বীকারোক্তি মোতাবেক আমার স্ত্রীকে তার ভাই রুহুল আমিন এবং শাহাজাহানকে তার স্ত্রী ফিরোজা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঐ দিনই সন্ধায় আমি বাড়িতে ফিরে বিষয়টির বিস্তারিত জানতে পারি। সব কিছু জানার পরেও আমি আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে আমার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসার কথা বললে সে আমার সংসারে আর ফিরবে না বলে জানিয়ে দেয়। তখন আমি তার কাছে রক্ষিত আমার দুই লক্ষ দশ হাজার টাকা ফেরতের বিষয়ে বললে উক্ত টাকা সে তার ভাইয়ের কাছে রাখা আছে বলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকার করে। বর্তমানে আমি আমার সন্তান এবং আমার গচ্ছিত টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তাই বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারটি।