জাতীয়

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, সংসদে প্রস্তাব পাস

By Daily Satkhira

March 12, 2017

ন্যাশনাল ডেস্ক : একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকা-কে স্মরণ করতে ওইদিন ‘গণহত্যা দিবস’ পালনে সংসদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণহত্যার কোনও প্রমাণ লাগে না। ওই সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকাই এর বড় প্রমাণ।’ এর আগে বিকাল তিনটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। দিনের কার্যসূচিতে থাকা অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত রেখে এ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও প্রায় ‎৬ ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় অংশ নেন ৫৫ জন সংসদ সদস্য। সরকারের শরিক দল জাসদের শিরীন আখতারের উত্থাপিত এ প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের  অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক। আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যত্রক্রম গ্রহণ করা হোক।’ আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘সংখ্যাতত্ত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আসলে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনকি মওদুদির ছেলেও এক সাক্ষাৎকারে জামায়াতের অফিসিয়াল প্রকাশনার উদ্ধৃতি দিয়ে  বলেছেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা ৩৫ লাখ।’ এই সংখ্যা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে, তাদের ধিক্কার জানাই।’’ তিনি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সমর্থনের পাশাপাশি ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পাকিস্তানিরা শুধু একাত্তরে আমাদের ওপর নয়, এখনও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বেলুচিস্তানে। প্রস্তাবটি সমর্থন করে তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিকভাবে এ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সরকারকে তৎপর হওয়ার আহবান জানান। জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দেশে এখনও পাকিস্তানের প্রেতাত্মা আছে। বাংলাদেশে আর কখনও যেন স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য এই দিবস পালন করতে হবে।’ জাতীয় পার্টির  কাজী ফিরোজ রশীদ এই দিনে সরকারি ছুটি দাবি করেন।