দেশের খবর: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার নাম সাইফুল।
পুলিশের দাবি, নিহত সাইফুল স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে ভালুকায় ডাকাতি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সাইফুল উথুরা ইউনিয়নের কৈয়াদী গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে।
ভালুকা থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন জানান, গত ১৬ জুন ভালুকার উথুরা ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাইফুল এক নম্বর আসামি ছিলেন।
আসামি সাইফুল ডাকাত ভালুকার হাতিবের এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন গোপন সূত্রে খবর আসে। এর ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ভালুকা থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে যৌথ অভিযান চালালে দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুই পুলিশ আহত হয়।
নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ভালুকায় ডাকাতি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও তিনটি ছোরা উদ্ধার করেছে।
গত ১৬ জুন ভালুকার উথুরা ইউনিয়নের সোনা উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাওয়ার পথে কায়ানাড়া নামক স্থানে জঙ্গলের ভেতর অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণ করে ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে করা হয়। ২৪ জুন ওই ছাত্রী একই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সাইফুল, রমজানসহ তিন বখাটে।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে ৩০ জুন ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।