প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুসহ আ’লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা শহরের খড়িবিলা এলাকার মৃত. রাজাউল্লাহ সরদারের পুত্র জাম্মাদ আলী এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি একজন গরিব নিরিহ দ্বীন মজুর ব্যক্তি। খড়িবিলায় এলাকায় পলাশপোল মৌজায় দাগ নং- ৪৩১৩, ৪৩১১, ৪৩১২ তিনটি দাগে সর্ব মোট ৫০ শতক জমির মালিক কছিমুদ্দিন বিশ^াস, পিতা- কাশেম বিশ^াস, কদবানু বিবি, পিতা- কছিমুদ্দিন বিশ^াস, ফজর আলী বিশ^াস, পিতা-চারু বিশ^াস, ছরিমুননেছা- স্বামী- আবু তালেব। ছরিমুননেছার স্বামী আবু তালেব জীবিত থাকা অবস্থায় তার অংশের ১২.৫০ শতক সম্পত্তি দেখাশোনা করতো ইটাগাছা এলাকার মৃত আব্দুর রহিম গাজীর পুত্র আবুল হোসেন। ২০০৬ সালের দিকে উক্ত আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে তার মাধ্যমে স্বাক্ষী মৃত মফেজ উদ্দীন সরদারের পুত্র মোঃ আকছেদ আলী ও জাহান আলীর পুত্র মোঃ সুজিবার রহমানের সামনে ছরিমুননেছার স্বামী আবু তালেব আমার কাছ থেকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য ২লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পূর্বেই ছরিমুননেছার স্বামী আবু তালেব এবং আবুল হোসেন দুইজনই মারা যান। টাকা দেওয়ার পর থেকে আমি উক্ত সম্পত্তিতে দীর্ঘ ১২/১৩ বছর যাবত ভোগদখলে আছি। তাদের মৃত্যুর পর তালেবের পুত্র শরিফুল ইসলাম উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ বিষয় নিয়ে আমি স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু’র হস্তক্ষেপ কামনা করি। তিনি একবার উক্ত বিষয় নিয়ে শালিসী বৈঠক করেন। কিন্তু ওই শালিসী বৈঠক শরিফুল মানেনি। ফলে তিনি আদালতের শরনাপন্না হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর আর কোন দিন উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে কাউন্সিলর কালু কোন হস্তক্ষেপ করেননি। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আকছেদ আলী,সদস্য সুজিবার এবং যুবলীগ নেতা ফজলু ঢালীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। উক্ত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতরা স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি ও জিএমবির সক্রিয় সদস্য। অথচ উক্ত ঘটনায় একদিনের জন্যেও স্থানীয় কাউন্সিলর কালু সহ অন্যান্য আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা সেখানে যাননি বা ভোগদখলও করেন না। সম্প্রতি ভুমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া সরকারি সম্পত্তি (বিল আবাদানি) রক্ষার দায়িত্বে থাকায় কাউন্সিলর কালুসহ তার সহযোগীদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ওই চক্র শরিফুলকে দিয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।