দেবহাটা ব্যুরো: বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭০ ভাগ গ্রামেই বসবাস করে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটি দুর্গম অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে যাচ্ছেন। চলতি বছর এই কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের ছাদও নির্মিত হয়েছে। এখন চলছে ফিনিশিং এর কাজ। এতে ছাদ ঢালাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে স্বাভাবিক কংকরের বদলে রাবিশ। যা নির্মাণ কাজে কোন মতেই ব্যবহার যোগ্য নহে। দেবহাটার দক্ষিণ নাজিরে ঘের কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ভবন তৈরিতে দুই নম্বর বালু দিয়ে নাম মাত্র সিমেন্ট দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে দেওয়াল তৈরির কাজ। ঠিকাদার নিজের প্রভাব খাটিয়ে এমন কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে গত দুই দিন পূর্বে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মাহবুবর রহমান নামের এক স্কুল ছাত্র। আহত মাহবুবর রহমান দক্ষিণ নাজিরে ঘের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ও নাজিরের ঘের এলাকার আব্দুল গফ্ফার সরদারের ছেলে। আহত স্কুল ছাত্র বর্তমানে সাতক্ষীরার একটি বে-সরকারী ক্লিনিকে ভর্তি আছে। সরেজমিনে যেয়ে জানাযায়, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের নির্মিত ছাদে উন্নতমানের কংকর ব্যবহারের নির্দেশনা শর্তেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যবহার নিষিদ্ধ রাবিশ। মূলভবনের দেওয়ালে ব্যবহার করা হয় নিন্মমানের ইট-বালু। সিমেন্ট নেই বললেই চলে। ফলে সামান্য বাতাসে দেওয়ালটি ধ্বসে পড়ে স্কুল ছাত্র মাহবুব আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসি। দক্ষিণ নাজিরে ঘের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্র-শনিবার সরকারী দিনে মিস্ত্রীরা এসে নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসছে। যার ফলে দেওয়ালের গাথুনী ও ছাদ ঢালাইয়ের সময় নিন্মমানের ইট, বালু, নাম মাত্র সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। যা নির্মাণ কাজে কোন ভাবেই ব্যবহার যোগ্য নয়। কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য ইয়ামিন মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করার বিষয়ে আমি কয়েকবার অভিযোগ করেছি। কিন্তু ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কাজ বন্ধ না করে জোর পূর্বক চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ করে ছুটির দিন গুলোতে তারা কাজ করছে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, ভবন তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেওয়াল ভেঙ্গে স্কুল ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা শুনে আমি নিজে নির্মান কাজ পরিদর্শন করি। দেওয়াল তৈরিতে নি¤œমানের সারঞ্জাম ব্যবহার হওয়ায় জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ইউএনও অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে ঠিকাদার পক্ষে সেলিম মোল্যার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি কাজের সাইটে যায় না। সাতক্ষীরাতে সাঈদ নামের একজন সাব কন্ট্রাক্টারের মাধ্যমে আমি কাজ করায়।