নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানের বৌভাত অনুষ্ঠান আজ শনিবার। নববধূর আগমন উপলক্ষ্যে এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার মোস্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ির সামনে সাজানো হয়েছে সুউচ্চ গেট। আলো ঝলমল গেট শোভা পাচ্ছে নান্দনিক রূপে।
শুক্লা পক্ষের একাদশী তিথিতে নববধূকে বরণ করতে প্রস্তুত মোস্তাফিজের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। এ উপলক্ষে ফিজের বাড়ি সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নানা আয়োজন।
মোস্তাফিজের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু জানান, মোস্তাফিজের বৌভাত অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই হাজার অতিথি থাকবেন। দাওয়াতের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে সাজ-সজ্জার কাজ। বাড়ির সঙ্গের প্রধান সড়কে করা হয়েছে আলো ঝলমলে দৃষ্টিনন্দন গেট। সেখান থেকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার পথের দু’ধারেও সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের আলোয়। গোটা বাড়ি সাজানো হয়েছে অনন্য রূপে। বর-কনের আসনও সাজানো হচ্ছে ফুল ও রঙিন আলোর সংমিশ্রণে।
মোস্তাফিজের পরিবার আগেই জানিয়েছিল, বিশ্বকাপ শেষে অনুষ্ঠিত হবে বৌভাত। নববধূ শিমুকে সেদিন জাঁকজমক আয়োজনে তুলে নেয়া হবে। মোস্তাফিজের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে। এ বাড়িতেই বধূ হয়ে আসবেন শিমু।
শনিবার এ বাড়িতেই মোস্তাফিজের সহধর্মিণী শিমুর বৌভাত। এরই মধ্যে আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদেরও হলুদ-মেহেদি রঙে রাঙিয়ে নিচ্ছেন স্বজনরা।
মাহফুজুর রহমান মিঠু আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সব খেলোয়াড় নিমন্ত্রিত হয়েছেন। সব আত্মীয়-স্বজনই শরিক হবেন অনুষ্ঠানে। গ্রামীণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বৌভাত।
নববধূ সুমাইয়া পারভিন শিমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা মো. রওনাকুল ইসলাম পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে। পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে গত ২২ মার্চ বিয়ে হয়েছিল তাদের। শিমু মোস্তাফিজের মামাতো বোন। তিনি ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লা কলেজ থেকে এ-প্লাস পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে তিনি গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়ে পাস করেন এসএসসি।