মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টে ইমিগ্রেশনের সুষ্ঠুু ব্যবস্থাপনার অভাব, অন্যদিকে পাসপোর্টযাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় শত শত পাসপোর্টযাত্রী দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইমিগ্রেশনে অতিরিক্ত কড়াকড়ির কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বেনাপোল চেকপোষ্টে এলাকায় দেখা যায় পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। কেউ ব্যাংকে লাইন দিয়ে ভ্রমণ ট্র্যাক্স নিচ্ছে। কেউ ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করার জন্য আছে লাইনে দাঁড়িয়ে। এর ভিতর আষাড়ে বৃষ্টি। ছোট ছেলে মেয়ে ও রোগিদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে তাদের সাথে থাকা অভিভাবকরা। স্মরন কালের সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পাসপের্টযাত্রীদের বেনাপোল চেকপোষ্টে। এসব যাত্রীদের নিকট থেকে বিশ্রাম ও রৌদ বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য চেকপোষ্টে আছে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। সেখানে প্রবেশ করতে নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে ৪৫ টাকা। অথচ রিসিট দেওয়া হচ্ছে ৪১.৭৫ টাকা। সেখানে বৃষ্টি নামলেও প্রবেশ করতে দেয়নি পোর্টের নিয়োজিত আনছার, আমর্ড পুলিশ ও পিমা নামে একটি নিরাপত্তা গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরী।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে মাঝে মধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ সারী হয়েছে কয়েক বার। কিন্তু সম্প্রতি একটানা এধরনের লাইন হওয়ায় বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীরা। তারা বলেন, ঢাকা সহ দেশের দুর দুরান্ত থেকে পরিবহনে আসা যাত্রীরা সব থেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়ছে। কারন সারারাত জেগে থেকে সকালে বেনাপোল এসে ভ্রমন ট্র্যাক্স ও ইমিগ্রেশন কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে বর্তমানে প্রায় কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
খুলনা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী নিলীমা শীল ( পাসপের্ট নং বিএফ ০৬১৬৭১৫) অভিযোগ করে বলেন বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের ট্যাক্স ৪৫ টাকা দিলেও তারা ভিতরে বৃষ্টি নামলে প্রবেশ করতে দেয়নি। এধরনের অভিযোগ আরো একাধিক যাত্রীর।
আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে অর্থ দিয়ে কিছু যাত্রী ভিতরে প্রবেশ করেছে এরকম প্রশ্নে ইমিগ্রেশন সুত্র জানায়, আমরাও বিষয়টি শুনেছি আজ প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে কোন আনছার সদস্য যাত্রীদের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে আগে প্রবেশ করাতে না পারে।ইমিগ্রেশন পুলিশ সার্বোক্ষনিক যাত্রীদের টার্মিনালের সামনে কাউকে টাকা দিয়ে যাতে ভিতরে প্রবেশ না করে তার জন্য সতর্ক করছে।
ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ বলেন, সঠিক ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইমিগ্রেশনে কাজ চলছে। কোন প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। যার বই সে হাতে নিয়ে কাজ করছে ইমিগ্রেশনে। পাসপোর্ট যাত্রীদের কোন হয়রানি নেই। দ্রুত সকল যাত্রীদের কাজ করার কাজ চলছে বিরোতীহীন ভাবে। এখানে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে যা ঢাকা থেকে কি হচ্ছে সব কিছু দেখতে পারবে। অপর একটি সুত্র দাবি করে বলেন, ইমিগ্রেশনের জনবলও সংকট। এখানে ২৪ জন এসআই থাকার কথা সেখানে আছে ১৮ জন, এবং ৯ জন এ এসআই এর জায়গায় আছে মাত্র ৩ জন। এছাড়া সম্প্রতি পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্য পুর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।