দেশের খবর:নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তলব (সমন জারি) করেছেন ঢাকার একটি আদালত। কর্মীদের পাওনা পরিশোধ না করা ও ট্রেড ইউনিয়নের কাজে বাধা দেওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারীর দায়ের করা পৃথক তিন ফৌজদারি মামলায় আগামী ৮ অক্টোবর তাকে ঢাকা শ্রম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করা হয়েছে।
ড. ইউনূস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকেও আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
মামলার বাদী এমরানুল হক, শাহ্ আলম ও আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন গঠন করার কারণে হয়রানিমূলক বদলি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সবশেষে চাকরিচ্যুত করায় গত ৩ জুলাই ড. ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করি। আদালত এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন। যে অনুযায়ী ১০ জুলাই (বুধবার) শ্রম আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব।
মামলার বাদীরা আরো জানান, গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে স্থায়ী পদে এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ (প্রস্তাবিত) নামে একটি ইউনিয়ন গঠন করেন এবং তা আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেন। ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহাপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নে আবেদন করেন তারা। ৯ জুন তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। মালিকপক্ষ ইউনিয়নের বিষয় জানতে পারলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনেও তারা বাধা প্রদান করেন। এমনকি অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। আসামিদের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বেআইনিভাবে বাদীদের প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত রাখেন এবং কোনো কারণ ছাড়াই বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করেন।
বেআইনিভাবে চাকরিচ্যূতির অভিযোগে গত ২৩ জুন বিবাদীদের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান তারা। তার কোনো জবাব না পেয়ে পরে মামলা দায়ের করেন।