যশোর

কেশবপুরে কাবিলপুর মন্দিরের স্থাপিত সাল ও নাম পরিবর্তনের অভিযোগ

By daily satkhira

July 14, 2019

কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে সরকারি হালটে নির্মানাধীন একটি মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে ডিজিটাল সাইনবোর্ডে স্থাপিত সাল ও নাম ফটোসপে কারসাজির মাধ্যমে পাল্টিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলার কাবিলপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রধান সড়কের পাশে মন্দিরের নিজস্ব জমিতে কাবিলপুর ও সকসকেনপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির থাকার সত্বেও প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এলাকার এক শ্রেনীর স্বার্থনেশী মহল ওই মন্দিরের সামনে সরকারি হালট দখল করে ২০১৬ সালে টিনশেড ও হালটের কিছু অংশ নিয়ে ২০১৭ সালে আরও একটি পাকা মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সেই মন্দিরে ডিজিটাল নাম ফলকে নাম লেখা ছিল কাবিলপুর ও সকসকেনপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং স্থাপিত সাল লেখা ছিল ১৯৭২ ইং। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান সরকারের একনেক সভা-২০১৯ এ পাশকৃত মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে নিতেই এই ডিজিটাল কারসাজি। নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কাবিলপুর ও সকসকেনপুর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে ও মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের নামে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিতেই সরকারী হালট দখল করে একই নামে নির্মিত মন্দির কর্তৃপক্ষরা ডিজিটাল কারসাজির আশ্রায় নিয়েছে। নির্মিত মন্দিরের পুরাতন সাইন বোর্ডে স্থাপিত সাল ১৯৭২ ইং লেখা থাকলেও রাতের অন্ধকারে উক্ত সাইন বোর্ডটি গোপন করে নতুন একটি সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেয়। ফটোসপে কারসাজি করে নতুন সাইন বোর্ডে স্থাপিত সাল ৭২ এর পরিবর্তে লেখা হয়েছে ১৯৬২ সাল, কাবিলপুর ও সকসকেনপুর সার্বজানীন পুরাতন দূর্গা  মন্দির লেখা হয়। ডিজিটাল কারসাজি ও সরকারি হালট দখলসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত উক্ত মন্দির উচ্ছেদ করতে কাবিলপুর ও সকসকেনপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবশেষে কাবিলপুর ও সকসকেনপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির পক্ষে সকসকেনপুর গ্রামের মৃত শতীস চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কোমলকৃষ্ণ দাস বাদী হয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-পি ৯৪০/১৭, তারিখ ২১/৮/১৭ ইং। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ১৮/০২/১৯ ইং তারিখে সরকারী হালট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের রায় দিয়েছে।

এ ব্যাপারে হাসানপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লক্ষণ সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাবিলপুর সকসকেনপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ১৯৭২ সালে স্থাপিত সাইনবোর্ডটি ছিল কিনা তা আমার জানা নেই। ওখানে ২টি ডিজিটাল ব্যানার দেওয়া হয়েছে বলে আমি দেখেছি। তাতে লেখা আছে কাবিলপুর সকসকেনপুর সার্বজনীন পুরাতন দূর্গা মন্দি যার স্থাপিত সাল ১৯৬২ইং। এ ব্যাপারে নাম পাল্টানো মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দিপঙ্কর দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, একই স্থানে ২টি মন্দিরের একই নাম হওয়ায় ডিজিটাল সাইনবোর্ডে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।