দেশের খবর: নরসিংদীর মাধবদীতে ১২ বছরের এক কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা মমিনুল (৩৭) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। কিশোরীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে মাধবদী পৌর শহরের আনন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজ কন্যাকে গত তিন মাসে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে সে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রাজমিস্ত্রী মমিনুল তার স্ত্রী জাহানার বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দী এলাকায় ভাড়া থাকতো। তার স্ত্রী টেক্সটাইল মিলে কর্মরত থাকায় প্রায়ই তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র কন্যা সন্তানকে বাসায় একা পেয়ে উত্যক্ত করতো। গত তিন মাস আগে ধর্ষণের বিষয়টি নজরে আসলে পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। রবিবার সকালে পুনরায় মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীটির মা মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে মাধবদীর আনন্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মমিনুল কুষ্টিয়া জেলার হরিণারায়নপুর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ভিকটিম ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মমিনুলের স্ত্রী জাহানার বেগম বলেন, পেটের দায়ে টেক্সটাইল মিলে কাজ করি। তাই প্রায়ই মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে উত্যক্ত করতো আমার স্বামী। গত তিন মাস আগে ধর্ষণের বিষয়টি টের পাই। পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু রবিবার সকালেও পুনরায় মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান বলেন, মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধবদীর আনন্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজ কন্যাকে গত তিন মাসে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে সে।