নুরনগরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ

পলাশ দেবনাথ নুরনগর : শ্যামনগর উপজেলা নুরনগরের দুরমুজখালী গ্রামে ৮ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা অত্র ইউনিয়নের দুরমুজখালী গ্রামের কন্যা। ধর্ষিতা ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ই জুলাই সোমবার নুরনগর মহিলা মাদ্রাসা ছুটির পর নুরনগর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে তার দুরসম্পর্কের খালাতো ভাই কুলতলী গ্রামের অফেজ উদ্দিন গাজীর ছেলে মইনদ্দিন গাজী ও আব্রাহাম গাজীর ছেলে আমিনুর রহমান তাকে খালা অসুস্থ্য, সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসারত এ কথা বলে ফুসলিয়ে মটর সাইকেলে তুলে সাতক্ষীরা অভিমুখে রওনা হয়। এবং কালিগঞ্জ পৌছানোর পর তাকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় তার পর সাতক্ষীরাস্থ রাজ্জাক পার্ক এলাকার একটি ঘরে নিয়ে পাঁচ জন মিলে ধর্ষন করে। পাঁচ জনের মধ্যে উপর লিখিত দুই জন ছাড়া অন্য তিন জনকে সে চেনেনা বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে। এছাড়া ধর্ষিতা আরও জানায় সাতক্ষীরা থেকে রাত্র ১২টার দিকে অচেনা এক মটর সাইকেল চালকের কাছে দিয়ে আমাকে বাড়ীতে পাঠানো হয় এবং রাত্র ১টার দিকে কালিগঞ্জের পাউখালি এলাকায় এসে রাস্তার পাশে নির্জন জায়গায় মটর সাইকেল চালক তাকে আবারও ধর্ষন করে এবং সেখান থেকে আসমাকে নিয়ে দুরমুজখালী নজরুল মেম্বারের বাড়ীর সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনা লোক লজ্জার ভয় ও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তার পিতা-মাতা কাউকে জানাতে না চাইলেও এলাকায় বিষয়টি জানা জানি হলে তাকে নিয়ে তার পিতা-মাতা নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদে আসে এবং অত্র পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদকে জানান। চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ তাৎক্ষনিক শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শ্যামনগর থানাকে অবহিত করে তাদেরকে শ্যামনগর থানায় পাঠান। অন্যদিকে ধর্ষিতার পিতা সাংবাদিকদের বলেন আমার মেয়ের সাথে যারা এই ঘৃণ্য আচরন করেছে আমি তাদের বিচার চাই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্যামনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।