দেশের খবর: বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মিন্নির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনে তার বক্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে নিহত রিফাতের স্ত্রী বলেন, স্যার আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই, ওই দিন যে এই ঘটনা ঘটবে তা আমি জানতাম না।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ৩টা ১৩ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ দাবি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে মিন্নির সম্পৃক্ততা আছে দাবি করে আদালতে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তার বক্তব্য শেষে মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আসামিরা আমাকে ফোনে বিরক্ত করতো ও ভয়-ভীতি দেখাতো। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিতো। আমি বা আমার পরিবার আসামিদের ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারিনি। আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
এ সময় নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নির কাছে বিচারক জানতে চান, হত্যাকারীর কল লিস্টে তার নম্বর কিভাবে এলো? ওই সময় মিন্নি নীরব থাকেন।
এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের পুলিশ পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো ও আদালতে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মিন্নির পরিবার ।
মিন্নির পরিবারের দাবি মিন্নি প্রায় দুই মাস যাবত মানসিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ আমাদের মেয়েকে আসামি শনাক্ত করার নামে একটানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বুববার বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়েকে কী কারণে সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে আমি তার সঠিক তদন্ত চাই। তিনি অভিযোগ করেন; খুনিদের সহযোগীরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য নাটক সাজিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগতভাবে লড়াই করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।