দেশের খবর: বিধি অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সরল বিশ্বাসে’ কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে সেটি অপরাধ হবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘প্যানেল কোডেই বলা আছে যে, সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম কোনো অপরাধ নয়। জেনারেল এক্সসেপশন বলে এটাকে। কিন্তু এখানে শর্ত আছে, সরল বিশ্বাসটা যেন উইথ কেয়ার অ্যান্ড কসাস হয়। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে, সরল বিশ্বাসে আপনি এ কাজটা করেছেন।’
পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। তবে অধিবেশনে অন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত ৩৩৩টি প্রস্তাব থাকলেও ডিসিদের পক্ষ থেকে দুদকের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব ছিল না।
ডিসিদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মোবাইল কোর্টের জন্য পুলিশের বিশেষ কোনো বাহিনী দেওয়া হবে না, যা আছে তা নিয়ে সমন্বয় করে ডিসিদের কাজ করতে হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ডিসিরা জেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে দুদকের কার্যক্রমও দেখবেন। তাই দুদকের কর্মকর্তারাও যদি কোনো অপরাধ করেন, তাহলে তারা সেটি দুদককে জানাবেন।
সম্মেলনে দুর্নীতি দমনের বিষয়ে ডিসিদের কোনো প্রস্তাব নেই- এ কথা জানালে চেয়ারম্যান বলেন, এখানে প্রস্তাবের কিছু নেই। তারাও কাজ করছে, দুদকও করছে, আপনারাও করছেন। আরও অনেক প্রস্তাব এসেছে, এগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের যে কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো ডিসিদের ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ডিসিরা আনন্দের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছেন। তারা বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ করে প্রাইমারি ও হাইস্কুলে মানসম্মত ও মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া না হলে উন্নয়ন টেকসই হবে না।