মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহে চলছে শুভংকরের ফাঁকি। বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে রিডিং বিহীন মিটার লাগিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের দর্নীতি দেখার কেউ নেই। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। বুধবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা- খুলনা মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটির নিচের অংশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে একটি মিটার ঝুলানো থাকলেও তাতে কোন রিডিং উঠছে না। মিটারের খোলামেলা বিদ্যুতের তারে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে এখানকার নির্মাণ শ্রমিক ও পথচারীরা। এভাবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সকল বিল্ডিং এ চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও অন্যান্য নির্মাণ কার্যক্রমে বিদ্যুতের ব্যবহার। স্থানীয়দের অভিযোগ অর্থ বাণিজ্য ও দুর্নীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অসাধুু কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, কাজের শুরু থেকে এভাবে বিদ্যুৎ লাইন নেওয়া হয়েছে। আমরা কনট্রাক্ট্ররের কাজ করি। কাজ হয়ে গেলে পরে মিটার নেওয়া হবে। এখনও স্থায়ী মিটার নেয়নি। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কথা উঠলে এ প্রতিষ্ঠানের ইন্সট্রাক্টর আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ডবল বিল দিই। কিভাবে বিল হচ্ছে? আর কে বা বিল পাচ্ছে? এটা আমাদের বিষয় না। আপনারা লেখালেখি করলে আমরা স্থায়ীভাবে মিটার পাবো। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টরের নামে মিটার নেওয়া আছে। আপনারা দেখেন আরি অফিস থেকে প্রতি মাসে বিল পরিশোধ করা হয়। অস্থায়ী মিটার হিসেবে আমরা ডবল বিল প্রদান করি। ওজোপাডিকো বিদ্যুুৎ সরবরাহ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিদ্যুৎ সংযোগটি অস্থায়ী ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাদেরকে ডবল বিল পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু মিটারটি নষ্ট কিনা তা দেখে নতুন মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।