আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার মাধবকাটিতে একাধিক নাশকতা মামলার আসামী কর্তৃক স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল খায়েরসহ ৫/৬ জনকে মিথ্যা মালায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এ অভিযোগ করেন, মাধবকাটি বাজার কমিটির সভাপতি ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর হায়দার, বাবলু মুহুরী, হাফিজুল ইসলাম ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম। তারা বলেন, মাধবকাটি কাঁচা বাজার জামে মসজিদটি প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এটি ছিল পাঞ্জেগানা মসজিদ। এরপর এখানে নির্মান করা হয় জামে মসজিদ। আর এই ওয়ারেশ আলী এই জামে মসজিদ নির্মানের সময় প্রায় ২ শতক জমি এখানে দান করেন। পরে তিনি মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকজনের কাছে ওই জমি ফেরত চাইলে তারা মসজিদের পাশে আব্দুর রহিম সরদারের কাছ থেকে ২ শতক জমি নিয়ে ওয়ারেশ আলীকে ওই জমি দিয়ে দেন। এরপরও ওয়ারেশ আলী ও তার ছেলে আবুল বাসার ওই জমি দাবী করনে এবং মুসল্লিদের কাছে মসজিদ সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে মুসল্লি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকজনের সাথে তাদের গত রমজান মাসে বাকবিতন্ডা হয়। আর এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে সম্প্রতি তারা সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এরই জের ধরে তারা আমাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তারা জানান। আওয়ামীলীগ নেতা আবুল খায়েরেসহ তারা আরো জানান, ওয়ারেশ আলী ও তার ছেলে আবুল বাসারের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫টি নাশকতার মামলা রয়েছে। তারা ২০১৩ সালে কাদের মোল্যার ফাঁসির রায়ের পর আবুল খায়েরের বাড়িঘর পেট্রোলের আগুনে পুড়িয়ে দেন। একই সাথে তারা মাধবকাটিতে তাদের লোকজন নিয়ে কাঁদের মোল্যার গায়েবী জানাজা ও মিছিল করেন। এছাড়ও ওয়ারেশ আলী ও তার ছেলে আবুল বাসারের বিরুদ্ধে সরকারের কয়েক বিঘা জমি দখল করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বালি উত্তোলনের অভিযোগ করেন তারা। এমতাবস্থায় তারা (আবুল খায়েরসহ উক্ত ব্যক্তিরা) ওয়ারেশ আলী ও তার ছেলে আবুল বাসারের ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে ওয়ারেশ আলী জানান, আমাদের বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগ করেছেন তার কোনটিই সঠিক নয়। তিনি আরো জানান, মসজিদের জায়গা নিয়ে যে বিরোধ চলছে সেটি আমিন দিয়ে মাপ-জরিপ করলে এটি সহজেই নিষ্পত্তি হবে।