পলাশ দেবনাথ নুরনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের পূর্ব দুরমুজখালী গ্রামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গেলে নিহত ময়না খাতুনের ভাই সাংবাদিকদের জানায় গতকাল বিকাল ৩টার দিকে তার বোন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সে আরও বলে পশ্চিম দুরমুজখালী গ্রামের মৃত গনেশের ছেলে শম্ভু আমার বোনের আত্মহত্যার জন্য দায়ী,সে আমার বোনকে প্রতি নিয়ত বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব সহ মোবাইল ফোনে বিরক্ত করতো। অন্যদিকে গত দুইদিন আগে ময়না সহ তার স্বামী ফারুক হোসেন ভাটা শ্রমিক, শশুর বাড়ী আসে এবং দুই দিন থাকার পর ময়নাকে নিয়ে বাড়ী ফেরার জন্য শাশুড়ী ও শালীকে সাথে নিয়ে ফারুক হোসেন নুরনগর বাজারে কেনাকাটা করতে যায়। ঐ সময় ময়না খাতুন বাড়ীর একটি ঘরে একা অব্স্থান করছিল। ঘটনার সময় একটু দুরের একটি ঘরে ভাই ও ভাবি ঘুমিয়ে ছিল বলে জানায় তারা। হঠাৎ ময়নার ভাবি ঘুম থেকে উঠে ঘরে গিয়ে দেখতে পায় ময়না নিজের ওড়না গলায় পেঁচানো অবস্থায় ঘরের আড়ায় ঝুলতে দেখে এবং ময়নার ভাই জলিল কে চিৎকার করে ডাকলে, সাথে সাথে তাকে সেখান থেকে নামালে তারা দেখতে পায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় পূর্ব দুরমৃজখালী গ্রামের সামছুর গাজীর কন্যা ময়না খাতুনের (১৬) সাথে রতনপুর ইউনিয়নের মৃত গোপাল হালদারের পুত্র ফারুক হোসেনের ৮মাস পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে ময়না খাতুন মাস খানেকের জন্য স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করে এবং তার পর থেকে বাবার বাড়ী থেকে নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেনীতে লেখাপড়া করত। মৃত ময়না খাতুনের স্বামী জানায় শম্ভুর কারনে তার সাংসারিক জীবনে বিভিন্ন সময় ঝামেলা লেগে থাকতো এছাড়া শম্ভু আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করতো। অন্যদিকে, বিষয়টি জানার জন্য শ্যামনগর থানায় ফোন করলে ওসি তদন্ত মোঃ আনিছুর রহমান মোল্যা বলেন এখনও থানায় কোন অভিযোগ পাইনি তবে অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।