নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর ডাকঘরে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে একজন নারী প্রতিবন্ধী পরিবারকে চাকুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন, ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন। তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে তিনি চাঁদপুর পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে তাকে ৩ শতক জমি দিয়ে সহায়তা করেন অধ্যক্ষ মুরাদুল হক, মাদ্রাসা সুপার ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা। তাকে ওই পোস্ট অফিসের ইডিএ পদে নিয়োগ দেওয়ার শর্ত ছিল। এর আগে ওই পোস্ট অফিসের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে এখানে ওখানে এদিক ওদিক চলতো। কিন্তু ভালুকা চাঁদপুর কলেজ ৩ শতক জমি দেওয়ার পর ৪ বছর যাবত পোস্ট অফিসটি পরিচালনা করে পোস্ট অফিসটি দাঁড় কনিয়েছেন তিনি। পরে সাতক্ষীরার প্রধান পরিদর্শক গোলাম রহমান ওই জমিতে ভাবন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। ওই অফিসটি যখন দাঁড় করানো গেল তখনই তার সাথে বেঈমানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রহিমা খাতুন। রহিমা খাতুন বলেন গোলাম রহমানের বদলির সুযোগে পরিদর্শক অরুন কৃষ্ণ মন্ডল দায়িত্ব নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। রহিমা আরও বলেন, তিনি সুযোগ পাওয়ায় ভালুকা চাঁদপুর কলেজে চাকুরি নিয়েছেন। অপরদিকে অরুন কৃষ্ণ মন্ডল তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে রহিমার স্থলে তার ছেলেকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ওই টাকা পরিশোধও করেন। অথচ দূর্নীতিবাজ পরিদর্শক অরুন কৃষ্ণ মন্ডল ২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তার ছেলেকে চাকরি না দিয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সে কর্মরত ৫৯ বছর বয়সী অসিত কুমার মন্ডলকে গত ১ এপ্রিল নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে অনুনয় বিনয় করে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানালেও তা করা হয়নি যা একজন প্রতিবন্ধী পরিবারের সাথে প্রতারনার শামিল। তিনি এর প্রতিকার দাবি করে ওই নিয়োগ বাতিল এবং তার সন্তানকে ইডিএ পদে নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।